সজীব থাকুন আঙুর রসের গুণে

টুকটাক সারাবছর ফলের দোকানে পাওয়া যায় আঙুর। শীতের শুরুতে সামান্য টকযুক্ত আঙুর আসা শুরু করে কিন্তু শীত শেষে পাওয়া যায় আসল স্বাদের মিষ্টি আঙুর। প্রকৃত মৌসুম হওয়ায় দারুন স্বাদের সঙ্গে দামটা থাকে সহনশীল পর্যায়ে। তাই ফলপ্রেমিরা ভুলে যান না আঙুর কিনে খেতে। কোনো প্রকার কীটনাশক প্রয়োগ ছাড়া আঙুর আপনাকে দেবে সজীবতার সঙ্গে অসাধারণ কিছু স্বাস্থ্য উপকার। এতে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ পদার্থ ম্যাঙ্গানিস ও পটাসিয়াম। আঙ্গুর যেকোনো রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো মারাত্মক রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

* আঙ্গুর শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। অ্যান্টি এজিং বা বয়স কমাতে শুধু গ্রিন টি নয়, আঙুরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও তারুণ্য ধরে রাখতে এবং রূপ লাবণ্য বাড়তে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় আঙুর ক্যান্সার সেলগুলোর বৃদ্ধিরোধ করে থাকে। তাই দিনে একবার হলেও এক থোকা আঙ্গুর খেতে ভুলবেন না।

আঙুর২* যাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালনের ভারসাম্যহীনতা রয়েছে তাদের জন্য আঙ্গুরের জুস খুবই উপকারী। আঙ্গুরে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস নিয়মিত রক্ত সঞ্চালনে সহায়ক ও ইনসুলিন বৃদ্ধি করে।

* আঙুরের খোসা এবং বিচিতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। মানুষের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। আঙুরে থাকা প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম শরীরের বাড়তি পানি কমিয়ে প্রয়োজনীয় পানির ভারসাম্য দারুনভাবে রক্ষা করে।

* প্রতিদিন ১০০ গ্রাম খোসাসহ আঙুর এবং গ্রিন টি পান করলে শরীরের ওজন কমে। একটানা দুইমাস কোনো রকম কেমিক্যাল ছাড়া অর্গানিক উপায়ে চাষ করা আঙুর খেলে কয়েক কেজি পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব। এছাড়া আঙুর শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়।

* স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিরাতে খাবার শেষে আধাগ্লাস আঙুরের রস খেলে হার্ট ভালো থাকে। শরীরে সঠিকমাত্রায় রক্ত চলাচল ঠিক রাখে। সেক্ষেত্রে অ্যালকোহল ফ্রি ব্লাক গ্রেবস শরবতও খেতে পারেন।



মন্তব্য চালু নেই