রাজধানীতে বিজিবি মোতায়েন

সচিবালয়ের স্টাফ বাসে আগুন

রাজধানীর পল্টন মোড়ে সচিবালয়ের একটি স্টাফ বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে এসময় বাসটি যাত্রী শূন্য থানায় হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বাসটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো স- ১১-০১০১।
তবে এ ব্যাপারে পল্টন থানায় যোগাযোগ করা হয়ে ডিউটি অফিসার এসআই সুশান্ত বলেন, ‘আমরা এখনো এমন কোন খবর পায়নি। মাঠে আমাদের একাধিক টিমে রয়েছে। এমন কিছু ঘটলে অবশ্যই আমরা জানতাম।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার দিকে দশ বারোজন যুবক রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বাসটিতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় বাসটির ভেতরে কেউ ছিলো না।

রাজধানীতে বিজিবি মোতায়েন

BGB রাজধানীতে বিজিবি মোতায়েনসোমবার দেশব্যাপী বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে নাশকতা ঠেকাতে রাজধানীতে বিজিবি মোতায়ন করা হয়েছে। পাশাপশি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রোববার দুপুরের পর থেকেই রাজধানীজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

রোববার সন্ধ্যায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তথ্য কর্মকর্তা মহসীন আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আপাতত রাজধানীতে বিজিবি মোতায়ন করা হয়েছে। আর দেশের অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বিজিবি মোতয়নের বিষয়ে আলোচনা চলছে।

এদিকে সরেজমিনে হরতালের আগের দিন রাজধানীর ফার্মগেট, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, পল্টন, ফকিরাপুল, মতিঝিল, গুলশান, বনানী, মহাখানী, ধানমণ্ডিসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে র‌্যাব ও পুলিশের কঠোর অবস্থান লক্ষ করা গেছে। তল্লাশী চালানো হচ্ছে ব্যাক্তিগত যানবাহনসহ পাবলিক ট্রান্সপোর্টগুলোতেও। এছাড়া সন্দেহভাজনদের দেহ তল্লাশী করতেও দেখা যায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে। এমনকি পাড়া মহল্লার বিভিন্ন অলি-গলিতেও পুলিশের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, হরতালকে কেন্দ্র করে সোমবার ভোর থেকেই জলকামানসহ বিভিন্ন সাজোয়া যান নামানো হবে রাজধানীতে। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র‌্যাব, পুলিশের পাশাপাশি মাঠে থাকবেন সাদা পোশাকে গোয়েন্দারাও। এছাড়া অন্যান্য হরতালের মতো এদিনের হরতালেও মাঠে থাকবে ভ্রাম্যমান আদালত।

এর আগে হরতালে নাশকতা ঠেকাতে শুক্রবার রাত থেকেই বিএনপির বিভিন্ন নেতা-কর্মীর বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। যার অংশ হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে শুক্রবার ভোরে সিদ্বেশ্বরী এলাকার একটি বাসা থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে শনিবার রাতে আটক করা হয় যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে। এর ঠিক কয়েক ঘণ্টা পর দু’দফা অভিযান চালানো হয় বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের শাজাহানপুরে বাসায়। যদিও এ সময় পরিবারের সদস্যরা দরজা না খোলায় তাকে আটক করতে না পেরে ফিরে যায় পুলিশ।

হরতালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বিক প্রস্তুতি প্রসঙ্গে কথা হলে ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘অন্যান্য হরতালের মতো এই হরতালেও মাঠে সক্রিয় থাকবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। জনসাধারণে জানমালের নিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার, তাই করবে পুলিশ।’

উল্লেখ্য, গাজীপুরে বিএনপির সমাবেশের দিন ১৪৪ ধারা জারির প্রতিবাদে ও জোটের শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে সোমবারের এ হরতালের ঘোষণা দেয় দলটি। শনিবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হরতালের এ ঘোষণা দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।



মন্তব্য চালু নেই