শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় শেষ নিদ্রায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজাদ

সিলেটে বোমা বিস্ফোরণে আহত র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র‌্যাব) গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের দু’টি নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাদ জুমা ঢাকা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রথম জানাযার পরে র‌্যাব সদর দপ্তরে বিকেল ৩টায় দ্বিতীয় জানাযা শেষ হয়।

সেখানে তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। সেসময় র‌্যাবের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন স্তরের জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

বনানীর সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে তাকে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বোমার স্প্রিন্টার তার চোখ দিয়ে ঢুকে মগজে গিয়ে মগজ অকেজো করে দেওয়াতেই মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে চিকিৎসকরা কর্নেল আজাদকে মৃত ঘোষণা করেন।

সিলেটের শিববাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যার পর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ব্রিফিং করা হয়। ব্রিফিং শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট পরই ব্রিফিংস্থলের কাছে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই বিস্ফোরণে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৬ ব্যক্তি নিহত হন। আহত হয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদসহ আরো প্রায় ৪০ জন।

আহত আজাদকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেই রাতেই বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকায় এনে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে। সেখানে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। পরে ২৯ মার্চ সিঙ্গাপুর থেকে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আবার তাকে সিএমএইচে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তার।



মন্তব্য চালু নেই