শ্যালা তীরে ত্রাণ বিতরণের সিদ্ধান্ত
সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যালা নদীর তীরবর্তী এলাকার কর্মজীবী মানুষের জন্য ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তঃমন্ত্রনালয়। এ নিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সিনিয়র সচিব আবুল কালাম আজাদকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির তত্বাবধানে এক মাসব্যাপী সুন্দরবন ঘেঁষা যেসব কর্মজীবী মানুষের আয়ের পথ বন্ধ হয়েছে তাদের মাঝে এই ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে। রোববার দুপুরে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রনালয়ের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘সুন্দরবন এলাকার শ্যালা নদীতে ফার্নেস অয়েলজনিত দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের ওপর সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলার পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের গৃহীত সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমরা একমত। স্থানীয় পদ্ধতিতে তেল অপসারণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং তা আরো জোরদার করা হবে। ৩/৪টি তেল ক্রয় কেন্দ্র খোলা হবে এবং ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা প্রতি লিটার মূল্যে তেল কেনা হবে।’গত ৯ ডিসেম্বর ভোরে পূর্ব সুন্দরবনের শ্যালা নদীর তীরের কাছাকাছি এলাকায় নোঙর করা একটি জ্বালানি তেলবাহী জাহাজকে অন্য একটি জাহাজ পণ্যবাহী জাহাজ ধাক্কা দিলে তেলবাহী জাহাজটি ডুবে যায়। এতে সাড়ে ৩ লাখ লিটারের বেশি তেল সুন্দরবন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়ার কথাও জানান মন্ত্রী। এছাড়া গাছের সঙ্গে লেগে থাকা তেল অপসারণের জন্যও ববস্থা নেয়া হবে। এবং যেসব গাছে লেগে থাকা তেল অপসারণ করা সম্ভব হবে না সেসব গাছ কেঠে ফেলা হবে বলে মন্ত্রী শাজাহান খান জানান।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, স্বাস্খ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান, মংলা বন্দর চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
মন্তব্য চালু নেই