শুরু হলো উড়াল সড়ক নির্মাণকাজ

যানজটমুক্ত রাজধানী গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারের নেয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (উড়াল সড়ক) নির্মাণকাজের সূচনা করলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এখন শুধু বাস্তবায়নের পালা।

রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিপরীতে কাওলা থেকে স্বপ্নের উড়াল সড়ক নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনকালে মন্ত্রী জানান, রেল লাইনের উপর দিয়েই নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, সাতরাস্তা, মগবাজার, কমলাপুর, খিলগাঁও, গোলাপবাগ হয়ে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী গিয়ে শেষ হবে। এ সড়কের মূল অংশ ২১ কিলোমিটার। এর সঙ্গে আরো পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি সংযোগ সড়ক থাকবে। এর একটি হবে মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে তেজগাঁও লেভেলক্রসিং পর্যন্ত আর অন্যটি পলাশী থেকে মগবাজার পর্যন্ত।

২০১৫ সালের ১৬ আগস্ট থেকে নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০১৮ সালের মধ্যে উড়াল সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকা উড়াল সড়ক নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার ২শ কোটি টাকা।

জানা গেছে, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধানে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ পদ্ধতিতে ঢাকা উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হবে। নির্মাণ ব্যয়ের ৭৩ শতাংশ বিনিয়োগ করবে ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি। বাকি ২৭ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ সরকার।

বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে উড়াল সড়ক নির্মাণ চুক্তি স্বাক্ষর হয় গত ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি। সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং ইটাল থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানির পক্ষে প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট প্রেমচাই কর্নাসুতা চুক্তিপত্রে সই করেন। চুক্তি অনুযায়ী সড়ক নির্মাণের পর বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ২৫ বছর সড়কের ওপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের কাছ থেকে টোল আদায় করবে।



মন্তব্য চালু নেই