শুধু অভিযোগ দিতেই চার থানায় ঘুরলেন অপহৃতের মা

টিপু সুলতান (রবিন), সাভার প্রতিনিধি: সাভারের আশুলিয়া থেকে অপহৃত হওয়ার এক দিন পেরিয়ে গেলেও সীমানা জটিলতার কারণে অভিযোগ করতে পারেনি অপহৃত কিশোরের মা। এঘটনায় শুধুমাত্র অভিযোগ করতেই আশুলিয়া, তুরাগ, মিরপুর-১ ও অবশেষে রমনা থানা পর্যন্ত অপহৃতের কিশোরের গার্মেন্টকর্মী মা’কে দৌড়াতে হয়েছে বলে জানা গেছে।

অপহৃত মো: হৃদয় (১৫) নামের ওই কিশোর বরিশাল জেলার ঝালোকাঠি থানার সুকুন্দিয়া গ্রামের মৃত নান্টু মল্লিকের ছেলে। সে আশুলিয়ার কাঠগড়া তালাবাজার এলাকায় মায়ের সাথে পরিবার নিয়ে থেকে ধউর এলাকায় রাজমিস্ত্রিও যোগালীর কাজ করতো।

অপহৃত কিশোরের মা গার্মেন্টকর্মী হালিমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় তুরাগের ধউর এলাকা থেকে কাজ শেষে আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার নিজ বাড়িতে ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তার ছেলে হৃদয়। এসময় আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কের আশুলিয়া বাজার এলাকায় বাস থেকে নামলে চার-পাঁচ জন হৃদয়কে তুলে নিয়ে যায়। পরে মুঠোফোনে বিভিন্ন সময় তার নিকট মুক্তিপণ বাবদ এক লাখ টাকা দাবী করে অপহরনকারীরা। এমনকি মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে টাকা না দিলে হৃদয়কে জবাই করে হত্যার হুমকি দেয় তারা। এমতাবস্থায় দিশেহারা হয়ে প্রথমে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করতে গেলে ঘটনা তুরাগ এলাকায় হয়েছে এমনটা জানান থানার ডিউটি অফিসার।

এরপর পুলিশের পরামর্শে তুরাগ থানায় গেলে ঘটনা মিরপুর-১ থানার মধ্যে হয়েছে বলে সেখানে যেতে বলা হয়। পরে সেখান থেকে তাদের রমনা থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন সেখানকার দ্বায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা।

অবশেষে নিখোঁজ সন্তানের খোঁজে কোন উপায়ন্তু না পেয়ে সারা দিন চার থানায় দৌড়ঝাপ শেষে পুনরায় আশুলিয়া থানার সরনাপন্ন হন তিনি। এদিকে মুঠোফোনে অপহরনকারীরা বারবার হৃদয়কে হত্যার হুমকি দিয়ে তাগাদা দিতে থাকে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত ৮টা নাগাদ এই অসহায় মা সন্তানের খোঁজে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসিনুল কাদিরের সাথে সাক্ষাতের জন্য তার অফিস কক্ষের সামনে দাড়িয়ে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

তবে কেন হৃদয়ের অপহরন অভিযোগ না নিয়ে তার মা’কে তুরাগ থানায় যেতে বলা হয়েছে এব্যাপারে আশুলিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার মো: আনিছ জানান, মূলত হৃদয় নামের ওই কিশোর কোন এলাকা থেকে অপহরন হয়েছে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি তার মা। তাই তাকে তুরাগ থানায় যেতে বলা হয়েছে।

আর তুরাগ থানা কতৃপক্ষ কেন তাকে মিরপুর থানায় পাঠিয়েছে তা আমার জানা নেই।

এব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসিনুল কাদির জানান, ঘটনাটি আমি মাধ্যমে অবগত হয়েছি। এব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই