শিশু আব্দুল্লাহ অপহরণ ও হত্যার বিচার শুরু

ঢাকার কেরানীগঞ্জের মুগারচরে বহুল আলোচিত শিশু আবদুল্লাহ (১১) হত্যা মামলায় ছয় আসামির বিচার ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল শুরু করেছেন।

সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপনের পর সোমবার মামলাটিতে ওই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের উপস্থিতিতে চার্জশিট আমলে নেন।

এদিন আসামি খোরশেদ আলম, মেহেদি হাসান ও কায়কোবাদকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। অন্যদিকে জামিনে থাকা আসামি মিতু আক্তার ট্রাইব্যুনালে হাজির হন। নাসিমা বেগম ও জহিরুল ইসলাম নামে অপর দুই আসামি পলাতক।

এদিন কারাগারে থাকা আসামিদের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হলে ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ তা নাকচ করেন। একই সঙ্গে মামলাটিতে অব্যাহতি চাওয়া আসামি মোতাহার হোসেন, সুজন দাশ, শফিকুল ইসলাম ও হেদায়েতুল ইসলামের অব্যাহতি প্রদান করেন।

মামলার শুনানিকালে নিহত আব্দুল্লাহর দাদা মারফত আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন।

ওই ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষে কৌশুলি মাহবুবুর রহমান জানান, মামলাটি ট্রাইব্যুনালে আসার পর সোমবারই প্রথম ধার্য তারিখ ছিল। পরবর্তী ধার্য তারিখে চার্জ শুনানি অনুষ্ঠিত হতে পারে।

গত ৯ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম এই চার্জশিট দাখিল করেন।

প্রসঙ্গত, কেরানীগঞ্জের রুহিতপুর ইউনিয়নের মুগারচর গ্রামের পশ্চিম মুগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মো. আবদুল্লাহ (১১) গত ২৯ জানুয়ারি দুপুরে নিখোঁজ হয়। ওইদিনই তাকে আসামি মেহেদী হাসান ওই শিশুকে বাড়ির দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যায় এবং আসামি মোতাহার ও খোরশেদ মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ প্লাস্টিকের ড্রামে ভরা হয় এবং আসামি কায়কোবাদকে লাশ ফেলার জন্য ভাড়া করা হয়। এর আগে মুঠোফোনে তাকে অপহরণের দাবি করে দুই দফায় দুই লাখ টাকা নেয় অপহরণকারীরা। গত ২ ফেব্রুয়ারি আবদুল্লাহদের বাড়ির মাত্র ১০০ গজ পশ্চিমে মোতাহার হোসেনের বাড়ির একটি কক্ষ থেকে প্লাস্টিকের ড্রামে ভরা আবদুল্লাহর গলিত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার মূল আসামি মোতাহার হোসেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়। আসামি মেহেদী হাসান মোতাহার হোসেনের ছেলেন এবং নাছিমা বেগম স্ত্রী।



মন্তব্য চালু নেই