শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম শুরু
রাজধানীসহ সারাদেশের ২ কোটি ১০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যকর্মীরা ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লাখ আইইউ) ও ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লাখ আইইউ) খাওয়াচ্ছেন।
বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে কার্যক্রম চলবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় পুষ্টি কার্যক্রমের আওতায় অন্ধত্বসহ শিশুদের অকাল মৃত্যুরোধে প্রতি বছর দুই বার ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
মোট ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রসহ অতিরিক্ত আরো ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, ব্রিজের টোল প্লাজা, বিমানবন্দর, রেল স্টেশন ও খেয়াঘাটে অবস্থান করছে। দুর্গম এলাকায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য পরবর্তী চারদিন (১১ থেকে ১৪ ডিসেম্বর) বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে প্রথম এ কার্যক্রম গ্রহণ করেন। তৎকালীন সময়ে ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মাঝে রাতকানা রোগের হার ছিল ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর হার উন্নীত হওয়ায় বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগের হার শতকরা ১ ভাগের নিচে নামানো সম্ভব হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই