শিল্পাচার্যের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে হবে

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলছেন, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের অনন্য অবদানের জন্যই দেশের শিল্পচর্চা আজ ঈর্ষণীয় মানে পৌঁছেছে। তার অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও আদর্শকে ধারণ করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১০২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৩ দিনব্যাপী জয়নুল উৎসব এবং বার্ষিক লোকজ মেলার উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সহধর্মিনী জাহানারা আবেদিন বিশেষ অতিথি ছিলেন। চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন স্বাগত বক্তব্য দেন। মৃৎশিল্প বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

মন্ত্রী বলেন, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন জয়নুল। তাকে হত্যার মাধ্যমে দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সূত্রপাত ঘটানো হয়। দেশকে পরিচালনা করা হয় উল্টো পথে। তিনি প্রকৃত বাঙালি হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাহলেই দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশে পরিণত করা সম্ভব হবে।

চারুকলা শিক্ষায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অনুষ্ঠানে ভারতীয় শিল্পী যোগেন চৌধুরী এবং বাংলাদেশের শিল্পী আবুল হাশেম খানকে ‘জয়নুল সম্মাননা-২০১৬’ প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, শিল্পী যোগেন চৌধুরী রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক এবং শিল্পী আবুল হাশেম খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্যকলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক।

উল্লেখ্য, ৩ দিনব্যাপী জয়নুল উৎসব এবং বার্ষিক লোকজ মেলা আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। মেলায় চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী এবং দেশের লোকশিল্পীদের শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই