শিক্ষার ১২ প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়ন হয়নি
নবম সংসদে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেয়া ১৭ প্রতিশ্রুতির ১২টিই বাস্তবায়ন হয়নি। তবে এগুলো বাস্তবায়নাধীন রয়েছে বলে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এরমধ্যে ৪টি বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকি ১টি প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে।
বুধবার অনুষ্ঠিত ‘সরকারি প্রতিশ্রুতি’ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী বৈঠক থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। কমিটির সভাপতি কাজী কেরামত আলী এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন নিয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়, নবম সংসদে দেয়া বিদ্যালয়বিহীন ১৫শ গ্রামে বিদ্যালয় স্থাপনের কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত অনুমোদিত বিদ্যালয়বিহীন গ্রামের সংখ্যা ১৯১৬টি। এরমধ্যে ১৩১৩টি বিদ্যালয় নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। ৬৭টি কার্যাদেশ প্রদানের অপেক্ষায় আছে। ইতিমধ্যে ৮০৪টি বিদ্যালয় নির্মাণের কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ ও সংস্কারে গুনগতমান নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। এ সময় কমিটির এক সদস্য আপত্তি তুলে বলেন, ‘লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনগুলো ১৫ বছর না পেরুতেই জরাজীর্ন হয়ে যায়। কাজের মান এতোই নিম্ন হয়।’
গুণগতমান নিশ্চিত করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়গুলো হস্তান্তরের সুপারিশ করা হয়। পাশাপাশি প্রয়োজন অনুযায়ী যথাস্থানেই বিদ্যালয় নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণেরও সুপারিশ করা হয়।
এদিকে ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে নিরক্ষরমুক্ত ও মধ্যমে আয়ের দেশে পরিণত করতে প্রাথমিক শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও মানসম্মত করার জন্য এই খাতে চলমান সকল প্রকল্প যথাসময়ে ও সুচারুরুপে বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল, মো. আব্দুল মজিদ খান এবং মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়াও বৈঠকে বাস্তবায়ন, পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য চালু নেই