শার্শায় ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বাল্য বিবাহ চরম হতাশায় অনেক পরিবার
১৯২৯ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন সংশোধন করা হয় ১৯৮৪ সালে। আইন অনুযায়ী পুরুষের বিবাহের বয়স ২১ বছর ও নারীর বয়স ১৮ বছর হতে হবে। আর এ আইন অমান্যকারী পরিবার, আত্মীয়, বর-কনেসহ স্থানীয় কাজিকে কঠিন শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু তার পরেও থেমে নেই বাল্য বিবাহ। দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলসহ শার্শার প্রতিটি গ্রামে বাল্য বিবাহ প্রবনতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি পার হয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে উঠার আগেই বিবাহ হচ্ছে একানকার কণ্যা শিশু কিশোরদের। যাদের বয়স ১০ থেকে ১৫ বছরের উর্দ্ধে নয়। আর পুরুষের েেত্র ১০, ১২, ১৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, তবে কিছু কিছু েেত্র কণ্য শিশুদের স্বামীর বয়স ২০ থেকে ২৫ বছর হতে দেখা যায়। আর অধিকাংশ েেত্র দু’এক বছর না যেতেই অবুঝ শিশুটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পান্তরে মা শিশুটি শাররীক, মানষিক, সামাজিক, গর্ভকালীন, প্রসবকালীনসহ নানা ধরনের জটিলতার সম্মুখিন হয়ে পড়ে। বাল্য বিবাহ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায়, শিা, দারিদ্র, প্রকৃত জনসচেতনতা, সামাজিক নিরাপত্তা, যৌন হয়রানি প্রবনতা বাল্য বিবাহের প্রধান কারণ। পরিবারের চরম উদাসিনতার কারণে মা শিশুকে জীবনের কঠিন মূল্য দিতে হয়। স্বাস্থ্যহীনতা, পুষ্টিহীনতা, শাররিক দূর্বলতাসহ বেশির ভাগ সময় বিভিন্ন অসুস্থতায় পড়তে দেখা যায় তাদের। অল্প বয়সে বিবাহ হওয়ার েেত্র ছেলে ও মেয়ের উভয় পরিবারের মধ্যে সমঝোতা থাকলেও বাল্য বিবাহ জেনে অতি গোপনে ভূয়া জন্ম নিবন্ধন তৈরী করে বয়ষ বাড়িয়ে বিবাহ হচ্ছে। কিছু কিছু েেত্র দেখা যায়, কাজি সাহেব বাল্য বিবাহ দেখে বিবাহ পড়াতে রাজি নন কিন্তু কে শেনে কার কথা, রাতের আঁধারে ঠিকই বিবাহ হয়ে যাচ্ছে দু’পরে। সংসার নামের কঠিন যাতাকলে পিষ্ঠ হয় অবুঝ দুটি শিশু। সাবিনা খাতুন-বয়স ১১ থেকে ১২ বছরে পড়েছে। সবে মাত্র প্রাথমিক পার করে মাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছে মাস দুই। সাবিনার বাড়ি শার্শা উপজেলার নাভারণ এলাকায়। সংসারে অভাব অনাটন আর দারিদ্রতার কষাঘাতে বিবাহ হয় তার। বছর না যেতেই মাতৃত্ব ধারণ করে সাবিনা। কথা হয় দৃষ্টিপাতের সাথে, সে জানায়, তার স্বামীর সংসারও বেশি স্বচ্ছলতা নয়। অভাবের সংসারে শ্বাশুড়ির দাত খিচুনি, স্বামীর অত্যাচার তার মধ্যে আমি মা হবো। ছোট্র একটি মায়াবি মুখ, অপুষ্টি, ুধা মন্দা, প্রসাবকালীন ভয় সাবিনার মানষিক বিকাশে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। আবেগে বলতে থাকে যদি লেখা পড়া শিখতে পারতাম তাহলে জীবন আরো সুন্দর হতো। প্রসবকালীন বেদনায় মায়ের মৃত্যু ও প্রসাবকালীন শিশু মৃত্যু বাল্য বিবাহের একটি বড় সমস্যা। সব মিলিয়ে শুধুই হতাশা সাবিনার মতো অনেকের জীবনে। তাই আসুন প্রকৃত জনসচেতনতার প্রভাব খাটিয়ে বাল্য বিবাহ বন্ধ করি। মা ও শিশুকে শিতি করে গড়ে তুলি।
মন্তব্য চালু নেই