শফিক-মাহমুদুরকে মুখোমুখি চায় ডিবি

সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে সাংবাদিক শফিক রেহমানকে দ্বিতীয় দফায় ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডের প্রথম দিনে শফিক রেহমানকে তার যুক্তরাষ্ট্র ও লন্ডন সফর নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিছু অমীমাংসিত বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য শফিক রেহমানকে বন্ধ হয়ে যাওয়া দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুখোমুখি করতে চায় ডিবি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার মামলায় ইতোমধ্যে মাহমুদুর রহমানকেও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাকে রিমান্ডে নেয়ারও আবেদন করেছে পুলিশ। ২৬ এপ্রিল এই রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক ডিবি কর্মকর্তা জানান, দুই দিনের সফরে লন্ডনে গিয়ে শফিক রেহমান কোথায় এবং কার কার বাড়িতে গিয়েছিলেন সেগুলো জানার চেষ্টা চলছে। এ পর্যন্ত তিনি একটি টুরিস্ট স্পটে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলেছেন। আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করছি। এছাড়াও শফিক রেহমানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে যেসব নথিপত্র পাওয়া গেছে সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি মাহমুদুর রহমানের নামে বাংলাদেশে এসেছিল। তাই আদালতের অনুমতি পেলে মাহমুদুর রহমানকে রিমান্ডে নিয়ে শফিক রেহমানের মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

সূত্র জানায়, প্রথম দফা রিমান্ডে শফিক রেহমান যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন সফর, মাহমুদুর রহমান, মোহাম্মদ উল্লাহ্ মামুন ও তার ছেলে সিজার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। ডিবি এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করেছে। দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে এসব বিষয়ে আরো বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি ‘বৈঠক’ শেষে দুই দিনের জন্য তিনি লন্ডন সফর নিয়ে তাকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

সেনাসমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গ্রেফতার হওয়া তারেক রহমান ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে লন্ডনে আছেন। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা ছাড়াও কয়েক ডজন মামলার আসামি তারেক। বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও রয়েছে। শফিক রেহমান লন্ডনে গিয়ে তারেক রহমান বা বিএনপির অন্য কোনো নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন কি না, সে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছে ডিবি।

এ বিষয়ে ডিবি দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, প্রথম দফার রিমান্ডে শফিক রেহমান কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন, তবে সেগুলো অমীমাংসিত ছিল। সেগুলো মীমাংসার জন্যই দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। জাগো নিউজ



মন্তব্য চালু নেই