লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায় লাউ

শীতকালীন সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর হলো লাউ। এটি খুবই সহজলভ্য এবং দামেও সস্তা। লাউ দিয়ে রান্না করা চিংড়ি বা মাছ কিংবা মুরগির মাংস খেতে খুবই উপাদেয়। দুধ-লাউও অনেকের পছন্দের খাবার। লাউয়ের ৯২ শতাংশই পানি, বাকি যেটুকু পানি রয়েছে তা শরীর সহজেই হজম করে ফেলে।

লাউয়ের এই পানি ও আঁশ আমাদের পরিপাক ক্রিয়াকে পরিষ্কার করে। এ কারণে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এ সবজিটি খুবই উপকারী। লাউয়ে গ্লুকোজ ও চিনি নেই বললেই চলে। ফলে ডায়বেটিসের রোগীরা লাউ খেলে উপকার পাবেন। সহজে হজম হয় এবং শরীর ঠাণ্ডা রাখে বলে ডায়রিয়ার সময় এক গ্লাস লাউয়ের রসে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে খেলে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া পানি ও সোডিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়।

লাউ মূত্রনালির বিভিন্ন রোগ ও জ্বালাপোড়া রোধে খুবই উপকারী। লাউ কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলস রোগ রোধেও খুব কার্যকর ভূমিকা রাখে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়াতে লাউ খাওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কাজেই লাউ লিভারের সংক্রমণে ভালো পথ্য হিসেবে কাজ করে।

লাউয়ে পর্যাপ্ত আয়রন, থায়ামিন, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকে, যা সুস্বাস্থ্যের জন্য দরকারি। লাউয়ের রস এপিলেপ্সি, পাকস্থলীর এসিডিটি, আলসার এবং অন্যান্য স্নায়ুরোগ নিরাময়ে ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া সহজে হজম করা যায় বলে জ্বরসহ অন্যান্য অসুস্থতায় লাউ পথ্য হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই