লিভারপুল-সিটি মহারণ আজ ।

 বুন্দেসলিগায় সাত ম্যাচ আগেই শিরোপা নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। ইতালিয়ান সিরি’আ ফুটবলে শিরোপার পথে জুভেন্টাস। তবে ব্যতিক্রম লা লিগা ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। লিগ একদম শেষ মুহূর্তে, তাপরও নিশ্চিত নয় কারা জিততে যাচ্ছে শিরোপা। লা লিগার মতো আগুন ঝরছে ইংল্যান্ডেও। অ্যানফিল্ডে আজ গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে শিরোপাপ্রত্যাশী লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার সিটি। যারা জিতবে তারাই এগিয়ে যাবে শিরোপার দিকে। ৩৩ ম্যাচে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে লিভারপুল। সেখানে ৩১ ম্যাচে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ম্যানচেস্টার সিটি। দুই ম্যাচ বেশি খেলা চেলসি রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে (৭২ পয়েন্ট)।আজ মাঠে নামছে চেলসিও। যার মোকাবিলা করবে সোয়ানসি সিটির। তবে অ্যানফিল্ডে লিভারপুল-ম্যানসিটি ম্যাচে ফিরে আসছে ঐতিহাসিক হিলসবরোর তিক্ত স্মৃতি, যা প্রেরণা হিসেবে কাজ করছে অল রেডদের।

১৯৮৯ সালের এফএ কাপ সেমিফাইনাল সাক্ষী হয়ে আছে ইংলিশ ফুটবলের ভয়াবহ এক ট্র্যাজেডির। প্রিয় দলের খেলা দেখতে শেরফিল্ডের হিলসবরো স্টেডিয়ামে ভিড় জমিয়েছিলেন বিপুলসংখ্যক লিভারপুল সমর্থক। প্রচণ্ড ভিড় আর হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন ৯৬ জন। রবিবার সেই নিহতদের স্মরণে ম্যাচটি শুরু হবে নির্ধারিত সময়ের সাত মিনিট পরে। কিক অফের আগে পালন করা হবে এক মিনিট নীরবতা। হিলসবরোর স্মৃতি প্রসঙ্গে লিভারপুল কোচ ব্রেন্ডন রজার্স বলেছেন, ‘হিলবসবরো নিয়ে আমরা বেশিকিছু বলতে পারব না কারণ এই বিষয়ে তদন্ত এখনও চলছে। কিন্তু এই দলের কোচ হিসেবে আমি জানি যে, সেই ৯৬ জন মানুষ আকাশ থেকে সব সময়ই এই দলকে সমর্থন দিয়ে যাবে। আমরা যদি এই বছরে কিছু জিততে পারি, তাহলে তারাই আমাদের চিন্তায় থাকবেন।’

তবে অ্যানফিল্ডে জয়ের জন্য মুখিয়ে আছে শিরোপাপ্রত্যাশী ম্যানচেস্টার সিটিও। এই ম্যাচে ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরছেন দলের তারকা স্ট্রাইকার সার্জিও অ্যাগুয়েরো, যা দলে বাড়াচ্ছে বাড়তি আত্মবিশ্বাস। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলতে পারেননি অ্যাগুয়েরো। গত ১২ মার্চ বার্সেলোনার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে সিটির ২-১ গোলের পরাজয়ের ম্যাচটিই ছিল তার সর্বশেষ। তারপরেও ১৭ লিগ ম্যাচে সিটির হয়ে ১৫ গোল করে তিনিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা। অ্যাগুয়েরো প্রসঙ্গে সিটি কোচ ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি বলেছেন, ‘সার্জিও এখন সুস্থ আছে। দলের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই অনুশীলন করতে পারছে। তাই ধরেই নেয়া যায় তার কোনো সমস্যা নেই। তার দলে ফিরে আসাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্লাবের শীর্ষ খেলোয়াড়। তাকে থামানো লিভারপুলের ডিফেন্সের জন্যই সত্যিই কঠিন হবে। আর সেটাই আমাদের জন্য জরুরি।’ প্রতিপক্ষ প্রসঙ্গে সিটি কোচ বলেন, ‘ঘরের মাঠে লিভারপুল সত্যিই ভয়ানক। এ ছাড়া তাদের রয়েছে লুইস সুয়ারেজ ও ড্যানিয়েল স্টারিজের মতো দুই স্ট্রাইকার, যারা ধারাবাহিক পাচ্ছে গোলের দেখা। ফলে তাদের মাঠে আমরা বেশ সতর্কই। কিন্তু আমাদের লক্ষ্যই পূর্ণ তিন পয়েন্ট।’

লিভারপুলের বিরুদ্ধে সর্বশেষ পাচ ম্যাচে অপরাজিত ম্যানচেস্টার সিটি। এর মধ্যে দুটিতে জয়, তিনটিতে ড্র। তবে ঘরের মাঠে সিটির বিরুদ্ধে পরিসংখ্যান বেশ ভালোই লিভারপুলের। ১৬ লিগ ম্যাচে সিটির সঙ্গে তারা এখন পর্যন্ত একবারই হেরেছে। জয় ১০টি, ড্র ৫টি। সেই হারটিও বেশ পুরনো, ২০০৩ সালে। ব্যবধান ছিল ২-১।



মন্তব্য চালু নেই