লালমনিরহাট সীমান্তে বাংলাদেশি তরুণীকে লাঞ্ছিত করেছে বিএসএফ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা বসত-বাড়ি ভাঙচুর করে এক তরুণীকে লাঞ্ছিত করেছে বলে জানা গেছে। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার ধবলগুড়ি সীমান্তে ৮৮৬ নং আন্তজার্তিক মেইন পিলারের কাছে সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
সীমান্তবর্তী লোকজনের অভিযোগ, ওই সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশি ভূ-খণ্ডে গরুর ঘাস কাটতে যায় স্থানীয় রাসেল নামে এক যুবক। তাকে লক্ষ্য করে ৩৫-বিএসএফের কুচবিহার-ফালাকাটার ললোংগাবাড়ী ক্যাম্পের টহল দল ধাওয়া করে। ওই যুবক ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে গেলেও টহল দল সীমান্ত ঘেঁষা সিরাজুলের বাড়ি ঘিরে ফেলে। তাদের দাবি, ওই বাড়িতে রাসেল লুকিয়ে আছে।
এক পয়ার্য়ে বিএসএফ সদস্যরা সিরাজুলের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। বাধা দিতে এলে সিরাজুলের মেয়ে ধবলগুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী বিউটি খাতুনকে (ছন্দ নাম) তারা লাঞ্ছিত করে।
এখবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশ এলাকা থেকে লোকজন দলবেঁধে সেখানে ছুটে আসে। তারা একজোট হয়ে বিএসএফর সদস্যদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়।
জোংড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বাংলাদেশে ঢুকে বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় বিএসএফ সদস্যদের ওপর ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা টহলে নেমেছে। নজরুল ইসলাম আরো বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কারো বাড়িতে ঢুকে বিএসএফের এমন তাণ্ডব চালানোর ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। বিজিবি রংপুর-৭ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর রুহল আমীন জানান, পুরো বিষয়টি নিয়ে আমরা বিএসএফকে পতাকা বৈঠকে বসতে আহ্বান জানিয়েছি। বৈঠকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হবে।
মন্তব্য চালু নেই