লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে চাকরি, সে পথ বন্ধ : শিক্ষামন্ত্রী

জাতি গঠনে শিক্ষকদের অবদান রাখার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘১০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে চাকরি দেন মন্ত্রী, সে পথ বন্ধ করেছি। পিএসসির মতো পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা নিয়েছি। এতদিন মন্ত্রীরা যা করেছে, আর করবে না।’

সোমবার দুপুরে ধানম-ির জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির সম্মেলন কক্ষে, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ছয়টি ভেন্যুতে প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ছয়টি ভেন্যু ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম, পাবনা, ফেনী ও বরিশাল ক্যাম্পাসে পঞ্চম ইংলিশ ল্যাগুয়েজ ট্রেনিং কোর্স ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতি গঠনে শিক্ষকদের গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু শিক্ষক আছেন যারা টাকা নিয়ে ক্লাসরুমে এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর বলে দেন। যে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে, তার কি ধারণা হবে শিক্ষকদের সম্পর্কে? আবার ওই শিক্ষার্থীর বাবাকেও ঘুষ খেয়ে বাড়তি টাকা উপার্জন করে ছেলে-মেয়েদের পড়াতে হয়। তাহলে ওই ছেলে-মেয়েরা তাদের বাবাকেও ঘৃণা করবে। শিক্ষককেতো সম্মান করবেই না। আর মন্ত্রীতো করে চুরি। তাহলে হতাশায় পড়বে ওই শিক্ষার্থী।’

শিক্ষকদের সম্মানের বিষয়টি তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ আছে। আমরা এখন পিএসসির মতো পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করেছি। এতে মেধাবী শিক্ষকদের বাছাই করার সুযোগ আছে। কিছু লোকের অসুবিধা হতে পারে। তবে শিক্ষকরা বিড়ম্বনা থেকে বাঁচবেন। হয়তো অনেকেই বলবেন, ‘তুমি মন্ত্রী, বসে বসে বড় বড় কথা বলো, নীতি-নৈতিকতার কথা বলছো, আর তোমাকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি নিছি।’ যা করেছি,আর করবো না। মাফ করে দাও। আমরা এখন সেই পথ বন্ধ করেছি।’

শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব ইউকে-এর মালয়েশিয়া ক্যাম্পাসে আট হাজার ৫৭৫ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন ৭০০ কলেজের সাত হাজার শিক্ষক, মাস্টার ট্রেইনার ৩০০, অধ্যক্ষ ৭০০, একাডেমিক স্টাফ জন ৫০০ জন এবং ৭৫ জন নীতি নির্ধারক অংশ গ্রহণ করবেন এই প্রশিক্ষণে’।

শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন,‘আমরা সবাইকে হয়তো বিদেশে প্রশিক্ষণ দিতে পারবো না। তবে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে জাতি গঠনে শিক্ষা ক্ষেত্রের উন্নয়ন করা হবে। ছেলে-মেয়েদের শিক্ষিত করতে না পারলে, ভালো মানুষ তৈরি করতে না পারলে দেশের উন্নয়ন হবে না। সেদিকে বিবেচনা করবেন। আপনারাই পারেন দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে।



মন্তব্য চালু নেই