লটারি জেতার কার্যকরী কৌশল জানেন কি?

জীবনে কতবার লটারি কিনেছেন, কখনো জেতেননি। তবু ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় আবার কিনেছেন। আসলে আমাদের সবারই প্রয়োজন টাকার। একসাথে একটা বড় অংকের টাকা পেলে মন্দ হয় না। জীবনের অনেক সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। তাই আমরা বার বারই লটারি কিনি। কিন্তু লটারি মেলে না অধিকাংশেরই। আমরা তখন ভাগ্যের দোষ দেই। কিন্তু আপনি জানেন কি, কিছু কার্যকর কৌশল অবলম্বন করলে মিলে যেতে পারে আপনার এবারের লটারিটি?

১। প্যাটার্ন খেয়াল করুন
টিকেট কেনার আগে একটু গবেষণা করুন। যেহেতু লটারি লেগে গেলে একসাথে পেয়ে যাবেন অনেক টাকা, যা পেতে হয়ত অনেক পরিশ্রম করতে হত আপনার, তাই কষ্টটা এখনই করুন। যে কোম্পানির লটারি কিনছেন সে কোম্পানিতে আগে কারা বিজয়ী হয়েছে খুঁজে দেখুন। তাদের লটারির নাম্বারের একটা প্যাটার্ণ বের করার চেষ্টা করুন। তবে অবশ্যই আগের বছরের সংখ্যাটি কিনবেন না। একই সংখ্যা ঘুরে আসে কতদিনে এমন কোন প্যাটার্ন আছে কিনা খেয়াল করুন।

২। রেকর্ড রাখুন
বিভিন্ন কোম্পানির লটারি বিক্রি, বিজয়ীদের হার, টাকার অংক, কারা বিজয়ী হচ্ছে, কোন নম্বরগুলো ঘুরেফিরে আসছে এগুলো রেকর্ড তৈরি করুন। পরবর্তীতে টিকেট কেনার সময় সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে আপনার।

৩। কম অংকের পুরষ্কার দিচ্ছে এমন টিকেট কিনুন
মানুষ সবসময় লোভে পড়ে সবচেয়ে বড় পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়েছে এমন লটারির টিকেট কেনে। আপনি উলটো পথটি বেছে নিন। এমন কোম্পানির টিকেট কিনুন যারা কম অংকের টাকা পুরষ্কার হিসেবে অফার করছে। আপনার প্রতিযোগী কম হবে, সম্ভাবনা বাড়বে।

৪। নাম্বার পছন্দে শিখুন ডেলটা সিস্টেম
ডেলটা লটো মেথড হল লটারির নাম্বার পছন্দ করার পদ্ধতি যা করা হয় কিছু পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে। এটি একটি গবেষণার ফল এবং দাবি করা হয়, এ পদ্ধতিতে পছন্দ করা নাম্বার কখনোই ভুল হয় না।

– প্রথমে একটা ছোট সংখ্যা নির্বাচন করুন। নাম্বারটি হবে ১ থকে ৫ এর মধ্যে। ১ খুবই ভাল একটি সংখ্যা। কারণ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ৬০ ভাগ বিজয়ী লটারির সংখ্যায় ১ থাকে। ৩ বা ৫ ও পছন্দ করতে পারেন।

– ১ আর ৮ এর মাঝে একটি নম্বর পছন্দ করুন। যে কোন দুইটি নম্বর নিন। ৩ আর ৫ নিতে পারেন। আবার ২ আর ৬ ও নিতে পারেন। জোর বেজোড় মিলিয়ে নিলেও সমস্যা নেই।

– ৮ এর খুব কাছের একটি নাম্বার নিন। ৮ থেকে উপরের সংখ্যা ৯ বা নীচের সংখ্যা ৭ যেকোনটিই আপনার পছন্দ হতে পারে। যে কোনটি বেছে নিন।

– এবার ৮ এবং ১৫ এর মধ্যে একটি নাম্বার নিন। যে নম্বরগুলো নিয়েছেন তাঁর থেকে আলাদা একটু দূরের দুইটি নাম্বার নিন। ১১ এবং ১৩ নিতে পারেন। আবার ১৪, ৯ বা ১০ আর ১৪ নিতে পারেন।

– নাম্বারগুলো একসাথে লিখুন। আপনি এতক্ষণে ৬টা নাম্বার পছন্দ করেছেন এই ডেল্টা নিয়মে। অর্থাৎ লটারির ৬ টি ডিজিট এখন আপনার হাতে। হয়ত নম্বরটি এরকম: ১-৩-৫-৯-১১-১৩।

– নম্বরগুলো যোগ করুন। খেয়াল করুন যোগফল যেন কোনভাবেই লটারিতে প্রযোজ্য সর্বোচ্চ নম্বরকে ছাড়িয়ে না যায়। যদি সর্বোচ্চ নম্বরটি ৫৬ হয় তাহলে আমরা ঠিক আছি। কারণ আমাদের সংখ্যাটির যোগফল ৪২।

– যদি সর্বোচ্চ নম্বরের তুলনায় আপনার নম্বরটির দূরত্ব হয় ১৫ তাহলে আপনি একটি ভাল নম্বর পছন্দ করেছেন।

– প্রয়োজনমত যোগফল পেতে দরকার হলে সংখ্যা বদলে দিন। দরকারে ১ সংখ্যা ২ বার নিন। কোন সমস্যা নেই।

– ডেলটা নম্বরগুলোকে ভিন্নভাবে সাজান। এলোমেলো করে লিখুন। এমন হতে পারে- ৫ ৩ ১১ ৯ ১ ১৩।

– সর্বশেষ সমন্বয় করুন। ডেলটা নম্বরগুলোই কিন্তু আপনার লটারির নম্বর নয়। এটা আপনি কাজে লাগাবেন লটারির নম্বরের সিকোয়েন্স তৈরীর জন্য।

– আপনি যে সিকোয়েন্সটি তৈরি করেছেন তাঁর প্রথম সংখ্যাটি লিখুন।

– এইবার প্রথম লটারি নম্বরের সাথে ২য় ডেলটা নম্বর যোগ করুন। অর্থাৎ প্রথম নম্বরটি তো লিখেছেনই। তাঁর পাশে প্রথম এবং ২য় নম্বরের যোগফল বসান। আমাদের সিকোয়েন্স অনুযায়ী এরকম হবে- ৫, ৫+৩=৮, ৮+১১=১৯, ১৯+৯= ২৮, ২৮+১= ২৯, ২৯+১৩=৪২। এবার সংখ্যাটি দাঁড়ালো ৫৮১৯২৮২৯৪২।

৫। কয়েকটি টিকেট কিনুন
নম্বরগুলো বিভিন্ন কম্বিনেষনে তৈরি করুন এবং মিলিয়ে মিলিয়ে কয়েকটি টিকিট কিনুন। এতে সম্ভাবনা আরও বাড়বে।

৬। গ্রুপে টিকিট কিনুন
একা একা আর কয়টা টিকেট কিনবেন? তাঁর চেয়ে বন্ধুরা মিলে গ্রুপে টিকেট কিনুন। জয়ের সম্ভাবনা বাড়বে অনেক গুণে।



মন্তব্য চালু নেই