র‌্যাবের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী অপহরণের অভিযোগ

রাজধানীর পুরান ঢাকায় র‌্যাবের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে অপহৃত ব্যবসায়ী রহমত উল্লাহ ওরফে সেন্টুর স্ত্রী লাভলী আক্তার এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে লাভলী অভিয্গে করেন, গত ৯ এপ্রিল পুরানা ঢাকার আদালতপাড়া থেকে লাভলীর স্বামী ব্যবসায়ী রহমত উল্লাহ ওরফে সেন্টুকে ল্যাব-১০ এর সদস্যরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। ৯ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে তিনি ও তার স্বামী সেন্টু একটি মামলার বিষয়ে আলোচনার জন্য আদালতপাড়ায় আইনজীবীর সহকারী শাহ আলমের চেম্বারে যান।
আলোচনা শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা দুজন সেখান থেকে বের হন। এ সময় ৮ থেকে ১০ জন লোক তার স্বামীকে জোর করে টেনে গলির ভেতরে ২নং ইংলিশ রোডের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। ওই সময় তাদের চিৎত্কারে আশপাশের দোকানিরা এগিয়ে এসে অপহরণকারীদের বাধা দেন। এসময় অপহরণকারীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে তাকে টেনেহেঁচড়ে নিয়ে রাস্তার মুখে অপেক্ষারত একটি মাইক্রোবাসে তোলা হয়। গাড়িটিতে কালো গ্লাস লাগানো ছিল। উপস্থিত লোকজন মাইক্রোবাসটি আটকানোর চেষ্টা করেন।
এর দুই-তিন মিনিট পর র‌্যাবের পোশাক পরা অস্ত্রধারী তিন-চারজন লোক এসে জড়ো হওয়া লোকদের লাঠিপেটা করে মাইক্রোবাসের সামনে থেকে সরিয়ে দেয়। এর পর র‌্যাবের আরেকটি গাড়ি আসে। র‌্যাবের পোশাক পরা লোকগুলো রহমত উল্যাহকে ওই গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এসময় পাশে কয়েকজন পুলিশ সদস্য দায়িত্বরত ছিলেন। পুলিশ সদস্যরা জানান, তারা ল্যাব-১০-এর সদস্য। তারা পরিচয়পত্রও দেখিয়েছে।
ঘটনার পর লাভলী আক্তার র‌্যাব-১০-এর কার্যালয়ে গেলে র‌্যাব তার স্বামীকে আটকের কথা অস্বীকার করে।
এ ঘটনায় লাভলী আক্তার বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ১৬ এপ্রিল একটি অপহরণ মামলা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের সাইফুল ইসলাম মাহমুদ ও টার্মিনালের কর্মচারী বাবুর যোগসাজশে ল্যাব-১০-এর সদস্যরা তার স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে। এতে আইনজীবীর সহকারী শাহ আলমের যোগশাজশস রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন লাভলী।
ঘটনার প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও স্বামীকে পাওয়ার আশায় এতোদিন তিনি মুখ খোলেননি। এখন বাধ্য হয়ে মুখ খুলছেন বলে জানান লাভলী। স্বামীকে উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন লাভলী আক্তারের বড় বোন মহুয়া বেগম, মহুয়ার স্বামী মেসবাহ উদ্দিন, বোন নারগিস আক্তার ও লাভলীর তিন শিশুসন্তান।



মন্তব্য চালু নেই