চাকরি গেলো মায়ার জামাতাসহ র‌্যাবের ৩ কর্মকর্তার

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় র‌্যাবের তিন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মাহমুদও রয়েছেন। অন্য দুজন হলেন- সেনাবাহিনীর মেজর আরিফ হোসেন এবং নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এমএম রানা।
এদের মধ্যে তারেক সাঈদ র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক ছিলেন। এছাড়া বাকি এই দুজনও নারায়ণগঞ্জে র‌্যাব-১১ এ কর্মরত ছিলেন। সাতজনকে অপহরণের পর তাদের নারায়ণগঞ্জ থেকে সরিয়ে স্ব স্ব বিভাগে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর পরিচালক শাহীনুল ইসলাম তাদেরকে চাকরিচ্যুত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘দায়িত্ব অবহেলা হয়েছে এমন বিবেচনায় নিজ বাহিনীর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় তারা জড়িত থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
এর আগে গডফাদার নূর হোসেনের দেয়া ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে র‌্যাব-১১ এর সিওসহ অন্যরা ৭ জনকে হত্যা করেছে এমন অভিযোগ করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নিহত নজরুল ইসলামের পরিবার।
মঙ্গলবার দুপুরে নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও তার বাবা (নজরুলের শ্বশুর) শহীদুল ইসলাম জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে র‌্যাবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। তবে ওই অভিযোগে কী লেখা হয়েছে তদন্তের স্বার্থে তা এখন সাংবাদিকদের বলতে নারাজ নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম।



মন্তব্য চালু নেই