রোহিঙ্গা ঠেকাতে আরও কঠোর বিজিবি-কোস্টগার্ড

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নজরদারি আরও বাড়িয়েছে বিজিবি ও কোস্টগার্ড। বুধবার ভোর থেকে সীমান্তে নজরদারি জোরদার করা হয়।

কোস্টগার্ড চট্রগ্রাম রিজিয়ানের অপারেশন কর্মকর্তা ডিকশন চৌধুরী জানান, নাফ নদীতে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ভাসছে- এই খবর শুনে নদীতে টহল আরও বেশি জোরদার করা হয়েছে। তিনি জানান, তাছাড়া গত কয়েক দিনে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ চেষ্টাকালে ১৩৫ জন রোহিঙ্গাকে ঠেকানো হয়েছে এবং কোনো রোহিঙ্গা যেন ঢুকতে না পারে নদীতে টহল অব্যাহত রাখা হয়েছে।

সূত্র জানায়, এখন থেকে বিজিবি ও কোস্টগার্ড রোহিঙ্গাদের মাঝ নদীতেই বাধা দেয়ার কৌশল নিয়ে মাঠে নামছে, যাতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ঢুকতে না পারে।

বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুজার আল জাহিদ জানান, নাফ নদীতে নৌকা বোঝাই রোহিঙ্গাদের খবর শুনেছি। যেসব পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা বেশি ঢোকার চেষ্টা করছে সেসব পয়েন্টে বিজিবির আরও বেশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া গতকাল নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে শূন্যরেখা অতিক্রম করে রোহিঙ্গা ভর্তি ২০টি নৌকা অনুপ্রবেশ চেষ্টাকালে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের ঠেকানো হয়েছে। এর আগে সীমান্তে তিন প্লাটুন বিজিবি বাড়ানো হয়েছিল।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম জানান, সীমান্ত এলাকার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের আরও বেশি সতর্ক রাখা হয়েছে। যাতে করে কোনো অনুপ্রবেশ করতে না পারে।

গত ৯ অক্টোবর নতুন করে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে পড়ে রোহিঙ্গারা। তারা পালিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। গত কয়েকদিনে ৩১৬ জন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢোকার সময় বাধা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে বেশির ভাগই ছিল শিশু।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) রিজিয়ান পর্যায়ের একটি বৈঠক শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা বন্ধ এবং সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে এই পতাকা বৈঠক শুরু হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই