রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ, নিরাপত্তা জোরদার

মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশে সহিংসতার পর রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তের স্থলভাগ ও নাফ নদীতে টহল দিচ্ছে বিজিবি ও কোষ্টগার্ড।

বন্ধ রয়েছে ৩ দিনের বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বাণিজ্য। পাশাপাশি এক দিনের ট্রানজিট যাতায়াতও বন্ধ রাখা হয়েছে। সংকট নিরসনে আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্তে বিজিবি ও বিজিপি’র মধ্যে পতাকা বৈঠকের কথা রয়েছে।

গত ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের মংডু এলাকার উত্তরাংশে সহিংসতার পর যে কোনো মুহূর্তে রোহিঙ্গারা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে পারে এই আশংকায় বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

সীমান্তে অতিরিক্ত ৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। কোস্টগার্ড ও বিজিবির নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে সদস্য সংখ্যাও। এছাড়াও সেখানে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমও চালাচ্ছে বিজিবি।

টেকনাফ ২ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আবুজার আল জাহিদ জানিয়েছেন, অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি নিজস্ব নিয়মিত বাহিনীর মধ্যেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেসব এলাকায় অনুপ্রবেশের ঘটনা বেশি ঘটে সেখানে টহলের পরিমাণ অনেক বাড়ানো হয়েছে।

কোষ্টগার্ড টেকনাফ ষ্টেশনের ইনর্চাজ লে. মো. নাফিউর রহমান জানান, বিভিন্ন সময় টহলের মাঝে স্থানীয় নৌকাযোগে লোকজনকে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের দিকে এগিয়ে আসার চেষ্টা করতে দেখা গেলে নদীর মাঝখানেই তাদের থামিয়ে মিয়ানমারের দিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

গত এক দিনেই মিয়ানমারের ৩৪৫ নাগরিককে ফিরিয়ে দিয়েছে বিজিবি। তবে বড় ধরনের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা না ঘটলেও রাতের আধাঁরে কিছু অনুপ্রবেশ ঘটছে। যারা পালিয়ে এসেছে, তারা জানালেন মিয়ানমারের সেই নির্মম নির্যাতনের কথা।

২০১২ সালের জুনে মিয়ানমারে সহিংসতায় একদিনেই কয়েক হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। এভাবে বিভিন্ন সময়ে আসা প্রায় ৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা এখনও বাংলাদেশে অবস্থান করছে। যার মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার মুসলিম রোহিঙ্গা টেকনাফ ও উখিয়ার দু’টি ক্যাম্পে শরণার্থী হিসেবে রয়েছে ১৯৯১ সাল থেকে।



মন্তব্য চালু নেই