রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গর্ভবতী নারীরা যা খাবেন

হবু মায়েদের নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার চেয়ে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এমন খাবার খাওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। গর্ভাবস্থা একটি মেয়ের জীবনে অত্যন্ত নাজুক পর্ব। কারণ, তার ভিতরে আরেকটি জীবন তৈরি করতে তার নিজের শরীরের প্রচুর অবদান থাকে।

এটাও বোঝা যায় যে যদি তার নির্দিষ্ট পুষ্টির অভাব হয়, এতে যে শুধু তার স্বাস্থ্য ও রোগ-প্রতিরোধে প্রভাব পড়বে তাই নয়, পাশাপাশি গর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুর ওপরেও প্রভাব ফেলবে। সেইজন্য গর্ভাবস্থায় ভেবেচিন্তে একটা সুস্থ খাদ্যাভাসের পরিকল্পনা অপরিহার্য যা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

গর্ভাবস্থায় অসুস্থতা এবং স্বাদের অবনতির সমস্যা মাথায় রেখে, সেই সময় ভালোলাগার উপাদানগুলো বিবেচনা করে এই আহারের পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। আপনার স্বাদ এবং স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু অপরিহার্য উপাদান যা শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে, সেই অনুসারে পরিকল্পনা করা উচিত।

গর্ভাবস্থায় রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এমন কয়েকটি খাবার দেওয়া হলো-

ভিটামিন ‘এ’

ভিটামিন ‘এ’ শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা বিটা ক্যারোটিন আকারে শরীরের দ্বারা শোষিত হয় এবং এটি ছোটখাটো সংক্রমণ রোধ করে এবং গর্ভস্থ শিশুর জন্মগত ত্রুটির সম্ভাবনা কমায়। গর্ভাবস্থায় ভিটামিন ‘এ’ ছাড়া রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার খাদ্য অসম্পূর্ণ থেকে যায় কারণ এটি ভ্রূণের বৃদ্ধি ও নিরীক্ষণ করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাবারগুলি হলো— গাজর, আম, মিষ্টি আলু ও কাজুবাদাম।

ভিটামিন ‘ডি’

ভিটামিন ‘ডি’ ঠাণ্ডা লাগা এবং ফ্লু রোধ করতে অত্যন্ত অপরিহার্য এবং স্তন্যপানের সময়ও খাওয়া যেতে পারে। তবে শীতকালে, সূর্যালোক ধরা কঠিন। গর্ভাবস্থায় যে সমস্ত খাবারে ভিটামিন ডি থাকে তা হলো— তৈলাক্ত মাছ, ডিম, মাল্টি ভিটামিন সিরিয়াল, দস্তা।

দস্তা

তালিকায় পরবর্তী খাবার দস্তা, প্রসবের পর দেখাশোনা, প্রজনন এবং ডিএনএ ক্রিয়ার জন্য কার্যকরী। দস্তা সমৃদ্ধ খাবারগুলি হলো— দুগ্ধজাত খাবার, শেল ফিশ, বাদাম।

ভিটামিন ‘বি’

ভিটামিন বি একটি অত্যন্ত অপরিহার্য পুষ্টি, বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় সকালবেলার অসুস্থতার সমস্যায় ভোগা নারীদের জন্য। ভিটামিন বি যৌগের মধ্যে বি-৬ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করা হয় যা সকালবেলার অসুস্থতার সমস্যায় কার্যকরী।

ক্যালসিয়াম

ক্যালসিয়াম হাড়ের এবং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী চিকেন স্যুপ এবং শাকের মতো খাদ্যের দ্বারা সহজেই শোষিত হতে পারে।

প্রোটিন

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে প্রোটিনকে মনে করা হয়। কারণ এটি রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকর।

রসুন

ব্যাকটেরিয়ারোধী বৈশিষ্টের জন্য রসুন সংক্রমণ এবং রোগ দূর করার ক্ষমতা রাখে। আর তাই এটি সুস্থ এবং শক্তিশালী রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

আয়রন

রক্ত এবং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আয়রনের ভূমিকার কোন সন্দেহ বা তর্কের জায়গা রাখে না। এটা রক্তকণিকা পুনর্জন্ম ও রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করার জন্য অপরিহার্য। রেড মিট, ব্ল্যাক প্লাম ও বরবটি আয়রনের উৎস হিসেবে বলা হয়।



মন্তব্য চালু নেই