যে কারণে পুত্র যুবরাজ সিং’র বিয়েতে যাননি তার বাবা

গত নভেম্বরে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ভারতের জাতীয় দলের ক্রিকেটার যুবরাজ সিং। জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন নিজের ভালোবাসার মানুষ বলিউড অভিনেত্রী হাজেল কিচকে। ছেলের জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেননি যুবরাজ সিংয়ের বাবা যোগরাজ সিং।

আশির দশকের শুরুতে ভারতের হয়ে একটি টেস্ট ও ছয়টি ওয়ানডে খেলেছেন যোগরাজ। কী এমন ক্ষোভ বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছিলেন, যার কারণে নিজের ছেলের বিয়ে থেকে দূরে থাকলেন!

কারণটা তিনি বলেছেন ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে। দুঃখ করে বলেছেন, ‘যুবরাজকে আমি ১৬ বছর ক্রিকেট শিখিয়েছি, সে আমাকে কোনো দিন একটা কুর্তা (জামা) উপহার দেয়নি। কিন্তু সে ডেরা বা গুরুদুয়ারায় গাড়ি উপহার দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছে! শিক্ষিত মানুষ যখন এইসব গুরুর পেছনে ছোটে তখন আমি খুবই অবাক হই। অন্যদের নিয়ে কী বলবো- আমার নিজের পরিবারই তো এমন অযৌক্তিক কাজ করছে।’

মূলত অতি গুরুভক্তিতে যুবরাজের উপর বিরক্ত তার বাবা। গুরু বলতে ধর্মীয় গুরু। নিজের মনের বাসনা পূরণ ও সুস্থ্ থাকার জন্য নিজের বিশ্বাস থেকে হিন্দু ধর্মের অনেক গুরুকে যুবরাজ অঢেল সম্পদ দান করেন। নিয়মিতই তিনি এটা করে আসছেন।

এমন কি, এক ধর্মীয় গুরু তাকে ক্যানসার থেকে সুস্থ করে তুলেছেন বলে বিশ্বাস যুবরাজের। বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত যুবরাজের বাবা যোগরাজ সিং। যুবরাজ তার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন একটি গুরুদুয়ারার ধর্ম গুরুর অধীনে। বিয়ের আগেই যোগরাজ সিং স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা কোনো গুরুর অধীনে তার আস্তানায় হলে তিনি অনুষ্ঠানে থাকবেন না। কিন্তু যুবরাজ তার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন এক গুরুদুয়ারায়।

তাই তিনি নিজ পুত্র যুবরাজের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাননি। এ থেকে নিজের ক্ষোভের কথা জানালেন যোগরাজ। বলেন, ‘আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি। কিন্তু কোনো গুরুতে বিশ্বাস করি না। ওসব ভুয়া। যুবরাজের বিয়ের আগে আমি তার মা’কে বলেছিলাম- কোনো ধর্মগুরুর অধীনে তার আস্তানায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হলে আমি তাতে অংশ নিবো না। আমার ভাগ্য খারাপ। আমার কথা তারা মানেনি। আমি আমার ছেলের বিয়েতে অংশ নেইনি।’

নিজের ছেলের বিশ্বাস দেখে আরো অবাক হয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলের কাছে আমার প্রশ্ন- তাকে কে ক্রিকেট শিখিয়েছে? তার বাবা নাকি ওই গুরু? ওই গুরু কি তাকে ক্যানসার থেকে সুস্থ করে তুলেছে? অথচ সে বিশ্বাস করে- ওই গুরুই নাকি তাকে ক্যানসার থেকে সুস্থ করে তুলেছে। আমি খুবই অবাক হচ্ছি।’



মন্তব্য চালু নেই