রাণীনগরে রেলওয়ের রোপনকৃত বহু বছরের পুরানো মরে যাচ্ছে

রেন্টিকড়ই গাছ বিলীন হওয়ার পথে ॥ দায়িত্বশীল মহল নজরে না নিলে রাজস্ব হারাবে সরকার

নওগাঁর রাণীনগরে বাংলাদেশ রেলওয়ের বহু বছরের পুরানো একটি রেন্টিকড়ই গাছ মরে যাওয়ায় গাছটির ডাল আপনা-আপনি ভেঙ্গে পড়ছে এবং অল্প-স্বল্প করে চুরি হওয়ায় গাছটি বিলীন হওয়ার পথে। দায়িত্বশীল মহল নজরে না নিলে গাছটি এক সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে এবং সরকার অনেক টাকার রাজস্ব হারাতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাণীনগর রেলওয়ে ষ্টেশনের চার পাশে বাংলাদেশ রেলওয়ের রোপনকৃত বহু বছরের পুরানো বিভিন্ন প্রজাতির বেশ কিছু গাছ রয়েছে তার মধ্যে শিমুল, বেল, রেন্টিকড়ই, বট, পাইকর, কৃষ্ণচূড়া অন্যতম। এই সব গাছ গুলোর মধ্যে ষ্টেশনের দক্ষিন ও রেল লাইনের পূর্ব পার্শ্বে (রাণীনগর-আবাদপুকুর সড়কের রেল গেট সংলগ্ন) বিশাল বড় আকৃতির একটি রেন্টিকড়ই গাছ গত কয়েক বছর আগে থেকেই ধরে ধরে মরে যাওয়ায় গাছটির শুকনো ডাল এখন আপনা-আপনি ভেঙ্গে পড়ছে এবং স্থানীয় কিছু লোকজন জ্বালানি হিসাবে ব্যবহারের জন্য রাতের অন্ধকারে অল্প-স্বল্প করে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।

কর্তৃপক্ষের নজর না থাকায় গাছটি বিলীন হওয়ার পথে। তাই জরুরি ভাবে দায়িত্বশীল মহল নজরে না নিলে সরকার অনেক টাকার রাজস্ব হারাতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

বেলবাড়ি গ্রামের উজ্জল হোসেন, রাজাপুর গ্রামের আতিকুর রহমান মিলন জানান, মরে যাওয়া এই রেন্টিকড়ই গাছটিকে ঘিরে এ উপজেলার মানুষের কিছু পুরানো স্মৃতিও জড়িয়ে আছে। এক সময় রাণীনগর উপজেলার প্রতিটি মানুষের চলাচলের প্রধান মাধ্যম ছিল ঘোড়া’র গাড়ি এবং গরু’র গাড়ি। গাড়ি গুলোর প্রধান ষ্ট্যান্ড ছিল মরে যাওয়া এই রেন্টিকড়ই গাছ তলায়। এখান থেকেই বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের জন্য গাড়ি ভাড়া করতো এ উপজেলার মানুষ। এই রেন্টিকড়ই গাছ তলা এখন বাঁশ হাটী নামে পরিচিত।

এব্যাপারে সান্তাহার জংশন’র উর্দ্ধতন উপ-সহকারি প্রকৌশলী (কার্জ) মতিউর রহমান মামুন জানান, কিছু দিন আগে গাছটি আধা মরা ছিল তাই কোন প্রকার পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি। তবে কয়েক দিনের মধ্যে গাছটি সরেজমিন দেখে প্রয়োজনীও পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।



মন্তব্য চালু নেই