রিভিউ আবেদন: সময়ক্ষেপণের কৌশলে সাকা-মুজাহিদ
আপিল বিভাগে ফাঁসির রায় পর্যালোচনার আবেদন (রিভিউ) করবেন মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ। দুইজনই তাদের আইনজীবীদেরকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন। আইনজীবীরা বলছেন, চূড়ান্ত রায় প্রকাশের পর রায় পর্যালোচনার আবেদন করতে যে ১৫ দিন সময় আছে তার পুরোটাই ব্যবহার করতে চান তারা। অর্থাৎ একেবারে শেষ সময়ে আবেদন করবে তারা।
এই দুই জনের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই বিদেশি হত্যা, বাংলাদেশে নিরাপত্তা ইস্যুতে পশ্চিমাদের উদ্বেগের ঘটনায় দেশে এক ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন দুই মানবতাবিরোধী অপরাধী। আর সে ক্ষেত্রে তাদের বেঁচে যাওয়ার ক্ষীণ আশা তৈরি হতে পারে বলেও আশা করছেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদ। এ জন্যই রায় পর্যালোচনার আবেদন যথা সম্ভব দেরিতে করার কৌশল নিচ্ছেন তারা।
এই দুই জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেয়া মৃত্যুদণ্ড আপিল বিভাগে বহাল থাকার রায় প্রকাশের পর গত বৃহস্পতিবার তা পড়ে শোনানো হয় দুইজনকে। উচ্চ আদালতের রীতি অনুযায়ী আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সময় পাবেন তারা।
এই দুইজনেরই প্রধান আইনজীবী হিসেবে উচ্চ আদালতে লড়ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন। কবে রায় পর্যালোচনার তিনি বলেন, ‘আমরা শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবো’। তিনি বলেন, ‘আবেদন এখনও প্রস্তুত করা হয়নি। নির্ধারিত ১৫ দিনের মধ্যেই আবেদন করা হবে। ১৫ দিন শেষ হওয়ার দুই একদিন আগেই আবেদন করা হবে’। দুটো আবেদনই একই দিনে করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘একদিন আগে-পরে দুজনের আবেদন করা হবে।
একাত্তরের খুনি বাহিনী আলবদর নেতা মুজাহিদ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দোসর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয় ৩০ সেপ্টেমম্বর। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগগত ১৬ জুন মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন। একই বেঞ্চ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় বহাল রাখে গত ২৯ জুলাই।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই মুজাহিদের ফাঁসির আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। আর মুক্তিযুদ্ধকালে চট্টগ্রামে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে একই বছরের ১ অক্টোবর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল-১।
মন্তব্য চালু নেই