রিজার্ভ চুরিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জড়িত

রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জড়িত বলে জানিয়েছেন সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন।

সোমবার দুপুরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের কাছে রিজার্ভ চুরির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় তিনি এ তথ্য জানান। অর্থমন্ত্রী বলছেন, এই তদন্ত প্রতিবেদন শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফরাসউদ্দিন বলেন, সুইফটেরও দায় দায়িত্ব আছে। সম্পূর্ণ দায় তাদের কি না, সেই বিশ্লেষণও প্রতিবেদনে আছে। সুফইট কখনো দায় এড়াতে পারে না। তবে সুইফটের সাহায্য নিয়েই ভবিষ্যতের সমস্যা সমাধান করতে হবে।

অর্থমন্ত্রণালয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলের সময় তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, তদন্ত কমিটির সদস্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ এবং সদস্য সচিব অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব গকুল চাঁদ দাস উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনার তদন্তে গত ১৫ মার্চ ৩ সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার। ৭৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম হ্যাক করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৩৫টি আবেদনে ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কায় ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার সরিয়ে নেয় হ্যাকাররা। পরে ডাচ ব্যাংক বানান ভুলের কারণে শ্রীলঙ্কায় ২০ মিলিয়ন অর্থ স্থানান্তরের আবেদন আটকে দেয়।

এদিকে, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ ফিলিপাইনে গিয়ে পৌঁছালেও থমকে দীর্ঘদিন দেশটির অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কমিটির কাছে শুনানি চলে। পরে গত সপ্তাহে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশের খোঁয়া যাওয়া রিজার্ভের তদন্ত থমকে গেছে ফিলিপাইনে।



মন্তব্য চালু নেই