রিজভীর নিরাপত্তায় আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা

খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে ‘অবরুদ্ধ’ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা যেন বেআইনিভাবে হয়রানির শিকার না হন এজন্য আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তার আইনজীবীরা। রবিবার বিকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ সংক্রান্তে একটি আবেদন দাখিল করা হয়। তবে বিচারক এ ব্যাপারে কোনো আদেশ দেননি।

এ সম্পর্কে আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, পল্লবী ৭০(১)১৬ নম্বর মামলায় গত ২৫ জুলাই রিজভী আহমদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। ওই মামলায় তিনি ১ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসবেন। গত শুক্রবার বেলা ১১টার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। তিনি নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন। তাই আমরা আদালতে হস্তক্ষেপ চয়েছি। তিনি যাতে নির্বিঘ্নে আদালতে আসতে পারেন এজন্য পাবলিক প্রসিকিউটরের মাধ্যমে আদালতের প্রটেকশনের আবেদন করেছিলাম। শুনানির পর আদালত আবেদনটি রেখে দিয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগরের ভারপ্রাপ্ত দায়রা জজ মো. রুহুল আমিন আবেদনের শুনানি গ্রহণ করলেও কোনো আদেশ দেননি।

প্রসঙ্গত, পল্লবী থানার ওই বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গত ২৫ জুলাই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

পরোয়ানা জারি হওয়া অপর আসামিরা হলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল, মোসা. সেলিনা আক্তার, মো. রুবেল, মো. নাঈম, মো. হাসান কমিশনার, শহিদুর পাখি, মো. সুমান, মো. সোহরাওয়ার্দী, গিয়াস উদ্দিন ও মো. রাজন।



মন্তব্য চালু নেই