ভারতের সঙ্গে সমুদ্রবিরোধ

রায়ের কপি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিরোধপূর্ণ সমুদ্রসীমা নিয়ে নেদারল্যান্ড আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে হওয়া রায়ের কপি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসে পৌঁছেছে।

সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল খোরশেদ আলমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রায়ের বিস্তারিত তথ্য আগামীকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ভারতের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সমুদ্র সীমা জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী বলে জানিয়েছিলেন। তিনি জানান, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মিয়ানমারের মতো ভারতের বিপক্ষেও সমুদ্রসীমা জয় করার জন্য আন্তজার্তিক মানের আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরের সীমানা নিয়ে ভারতের সঙ্গে বিদ্যমান বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে আবেদন করে বাংলাদেশ। রুডিগার ওলফ্রামের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশ এবং ভারত সরকারের বক্তব্য শোনেন। ট্রাইব্যুনালের একটি প্রতিনিধিদল বিরোধপূর্ণ এলাকাও পরিদর্শন করে।

সমুদ্রসীমা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে এই সালিশিতে বাংলাদেশের পক্ষে খোদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিনিধিত্ব করলেও ভারত সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং আইন উপদেষ্টা নিরু চাদা। আর তার সহযোগী হিসেবে ছিলেন একই মন্ত্রণালয়ের আরেক যুগ্ম সচিব হর্ষবর্ধন সিংলা ও পরিচালক পুনিত আগরওয়াল।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে আট দিনব্যাপী বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ মামলার শুনানি হয়। শুনানির ছয় মাসের মধ্যে রায় ঘোষণার কথা জানায় পিসিএ (পার্মানেন্ট কোর্ট অব আরবিট্রেশন)। দুই দেশের জলসীমা শুরু হবে কোত্থেকে, সেটাই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিরোধের মূল বিষয়।

এছাড়া, ভূমিরেখার মূল বিন্দু থেকে সমুদ্রে রেখা টানার পদ্ধতি নিয়েও মতবিরোধ রয়েছে দুই দেশের মধ্যে। পিসিএ দুই দেশের উপস্থাপিত যুক্তিতর্ক বিবেচনা করে রায় প্রকাশ করবেন।



মন্তব্য চালু নেই