রাস্তায় আবর্জনা ফেলতে বারণ করায় বালুরঘাটে পিটিয়ে মারা হল হোমগার্ডকে

‘অপরাধ’ ছিল মদ বিক্রি বন্ধ করতে বলা। ‘অপরাধ’ ছিল বাড়ির সামনে আবর্জনা ফেলতে বারণ করা। ‘অপরাধ’ ছিল পাড়ায় স্বাস্থ্যকর ও সুস্থ পরিবেশ গড়ে তুলতে বলা। আর তার জন্যই প্রাণ দিতে হল বালুরঘাট শহরের হোমগার্ড কর্মী ভবেশ দাসকে। তিনি বালুরঘাট থানার অধীন ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ঘটনায় মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মৃতের স্ত্রী অঞ্জু দাস জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ির পাশের মুদি দোকান ব্যবসায়ী প্রাণকৃষ্ণ অধিকারী এবং তাঁর দুই ছেলে রাজা ও পরাণ অধিকারী নিয়মিত মদ্যপান করতেন ও মদের আসর বসাতেন এলাকায়। তাঁরা তাঁদের দোকান থেকে গাঁজা ও মদ বিক্রয় করতেন চোরাভাবে। এমনকি বাড়ির বাইরে নোংরা আবর্জনার স্তূপ বানিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করে রেখেছিলেন বলেও অভিযোগ। একেবারে পাশের বাড়িতে নিত্যদিন মদ্যপায়ীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন সকলে। তবে পাড়ার অন্যরা সেভাবে এগিয়ে না এলেও তার স্বামী ভবেশ দাস একাই প্রতিবাদ করতেন। দিন দু’য়েক আগে করা প্রতিবাদের বদলা নিতে তাঁর স্বামীকে প্রাণকৃষ্ণ অধিকারী এবং তাঁর দুই ছেলে খুন করেছে বলে অভিযোগ মঞ্জু দেবীর।
তাঁর কথায়, শনিবার রাত ১১টা নাগাদ প্রাণকৃষ্ণ অধিকারী এবং তার দুই ছেলে মদ্যপান করে এসে তাঁর স্বামীর উপরে চড়াও হয়। তাঁদের মারধরেই ঘটনাস্থলে ভবেশবাবু প্রাণ হারান।



মন্তব্য চালু নেই