রাষ্ট্রপতির দাওয়াত পেয়েছেন কারারুদ্ধ বিএনপি নেতারা

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ্যাডভোকেট স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে তার দেওয়া রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।

রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার দলের সিনিয়র ২০ নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে কারারুদ্ধ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দফতরের দায়িত্ব পালনকারী যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদও রাষ্ট্রপতির দেওয়া এ রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনার আমন্ত্রণ পেয়েছেন।

বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে কারারুদ্ধ এ তিন নেতা ওই রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পেলেও দলের অন্যতম দুই নীতি নির্ধারক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসকে বঙ্গভবনের দাওয়াতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

সূত্র জানায়, লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, কারারুদ্ধ স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, ব্রি. জে. (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, মির্জা আব্বাস ছাড়া দলের নীতি নির্ধারকদের অন্য সবাই রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে দাওয়াত পেয়েছেন।

বিএনপির নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা ১৯ জন। এরমধ্যে সাবেক মহাসচিব এ্যাডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন মৃত্যুবরণ করেছেন। মানবতা বিরোধী মামলায় অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি দুর্নীতি মামলা প্রায় এক বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণি, তরিকুল ইসলাম, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, এম শামসুল ইসলাম, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, এম কে আনোয়ার, বেগম সারোয়ারী রহমান, ড. আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বঙ্গভবনের দাওয়াত পেয়েছেন। স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্রি.জে(অব.) আ স ম হান্নান শাহ ও মির্জা আব্বাসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।

নীতি নির্ধারকদের বাইরে বিএনপির সিনিয়র নেতা ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আবদুল্লাহ আল নোমান, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসূফ, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুকও রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে বঙ্গভবনের দাওয়াত পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত বুধবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে বঙ্গভবনের ডেসপাস রাইডার রফিকুল ইসলাম বাবু বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এ আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন। বিএনপির দফতর বিভাগের ঠিকানায় পাঠানো এ আমন্ত্রণ খালেদা জিয়া পেয়েছেন বলে  জানিয়েছেন চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

দিদার জানান, বঙ্গভবনের ডেসপাস রাইডার রফিকুল ইসলাম বাবু এ দাওয়াতপত্র নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়ে যান। কিন্তু কার্যালয় তালাবদ্ধ থাকায় তিনি তা বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে পৌঁছে দেন।

দিদার আরও জানান, বঙ্গভবন থেকে রাষ্ট্রীয় কার্যে ব্যবহৃত একটি মুখ বন্ধ খামে এ দাওয়াতপত্রটি আসে। একটি স্মারক চিঠির মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলের অন্য ২০ সিনিয়র নেতাদের নামে এগুলো ইস্যু করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই