রাশিয়ার সঙ্গে দুই সমঝোতা স্মারক সই

গণমাধ্যম সহযোগিতা ও সংবাদ বিনিময় নিয়ে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
বৃস্পতিবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এই সমঝোতা স্মারক দুটি স্বাক্ষরিত হয়।

সমঝোতা স্মারক দুটিতে রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে গণমাধ্যম সহযোগিতা এবং সংবাদ সংস্থা বাসস ও ইতার-তাসের মধ্যে সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে ঢাকা-মস্কোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়।

‘বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে’ অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে দুই দেশের জন্য লাভজনক ‘অভিন্ন লক্ষ্য’ অর্জনে একযোগে কাজ করতে একমত হন বাংলাদেশ ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দেশটি সফর করছেন মাহমুদ আলী।

বিবৃতিতে বলা হয়, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে ‘আস্থাভাজন অংশীদার’ হিসেবে অভিহিত করেন। দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বিশেষ করে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মস্কো সফরের পর সম্পর্কোন্নয়নের প্রশংসা করেছেন তিনি।

এছাড়া গত বছর জুলাইয়ে উলানবাটারে আসেম সম্মেলনের ফাঁকে রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফলপ্রসূ বৈঠকের কথাও স্মরণ করেছেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়ার (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) সহায়তার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরকে মাইনমুক্ত করতে রাশিয়ার সৈন্যদের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভকে বাংলাদেশ সফরে আসতে শেখ হাসিনার আমন্ত্রণপত্র লাভরভের কাছে হস্তান্তর করেন মাহমুদ আলী।

লাভরভের সঙ্গে বৈঠকের পর রাশিয়ার গণযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে যান মাহমুদ আলী। সেখানে তার উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারক দুটি স্বাক্ষরিত হয়। প্রথম এমওইউতে স্বাক্ষর করেন রাশিয়ার টেলিযোগাযোগ ও গণযোগাযোগ মন্ত্রী নিকোলাই নিকিফোরভ এবং বাংলাদেশের তথ্য সচিব মর্তুজা আহমদ।

অপর এমওইউতে স্বাক্ষর করেন বাসস’র প্রধান বার্তা সম্পাদক আনিসুর রহমান এবং তাস’র ডেপুটি চিফ এডিটর মারাত আবুল খাতিন।

দুই দেশের গণমাধ্যমের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রথম এমওইউ স্বাক্ষর হয়। আর বাসস ও ইতার তাস’র মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরের লক্ষ্য হচ্ছে সংবাদ বিনিময় ও দুটি জাতীয় বার্তা সংস্থার পেশাগত উন্নয়নে সহযোগিতার বিভিন্ন দিক খুঁজে দেখা।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরকালে মস্কোয় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. সাইফুল হকও উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই