রামপুরায় টিনশেড বাড়ি দেবে নিহত ১১

রাজধানীর রামপুরা বউবাজার এলাকায় মজা ঝিলের ওপর নির্মিত টিনশেড বাড়ি দেবে যাওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে একই পরিবারের চার সদস্য রয়েছেন।

নিহতরা হলো- নিজাম উদ্দিন (৪৫), মিজানুর (৩০), হারুন অর রশিদ (২৮), সাইফুল ইসলাম (১৪), খাদিজা (১৯), কল্পনা (৪৫), রোকসানা (২২) ও জোছনা (৪০), ফারজানা (১২) জাকির (৩৫) এবং রুনা (১৪)।

টিনশেড থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা ১২ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে অধিকাংশ পোশাক শ্রমিক। এ ছাড়া ঝিলের ওপর ওই দোতলা টিনশেডে বসবাসকারীও সবাই পোশাক শ্রমিক বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় প্রথমে আহত দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে আমাদের প্রতিবেদক জানান, দেবে যাওয়া বাড়ি থেকে আরো পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল সাতজনে।

ওই টিনশেডের নিচতলায় সপরিবারে থাকতেন নার্গিস। তিনি জানান, তিনি বাইরে ছিলেন। খবর পেয়ে ছুটে এসে দেখেন, তাদের ঘর দেবে গেছে। ঘর থেকে তার স্বামী কোনোমতে প্রাণ নিয়ে বের হলেও তার ভাইবোন বের হতে পারেননি।

নার্গিস আরো জানান, এই টিনশেড বাড়ির ২২টি কক্ষে ১৫টি পরিবার বাস করত। পতিত ঝিলের ওপর স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি বাড়ি নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে। জায়গাটি সরকারি।

রামপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেন।

ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক এ বি এম নুরুল হক জানান, পুরোনো ঝিলের ওপর নির্মিত দুর্বল কাঠামোর টিনশেড বাড়িটি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ কাদা-পানিতে দেবে যায়। এতে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি উদ্ধারকারী দল দেবে যাওয়া টিনশেড থেকে লোকজনকে উদ্ধারে এখনো তৎপরতা চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে রেড ক্রিসেন্টের ১২ সদস্যের একটি দল উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই