রানাপ্লাজা ট্র্যাজেডি : কান্না ও শ্রদ্ধায় নিহতদের স্মরণ
রানা প্লাজা ধসের দুই বছরপূর্তি শুক্রবার। কান্না ও শ্রদ্ধায় রানা প্লাজা ধসে নিহতদের স্মরণ করছেন স্বজনরা।
রানা প্লাজার সামনে নির্মিত শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, আহত শ্রমিক, নিহত ও নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজন, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ। শুক্রবার সকাল থেকেই পর্যায়ক্রমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদেন শুরু হয়।
দূর-দূরান্ত থেকে ফুল নিয়ে নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে এসেছেন নিহতের স্বজনরা। এ ছাড়া বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরাও এসেছেন শ্রদ্ধা জানাতে। এ সময় ফুলে ফুলে ঢেকে যায় নিহত শ্রমিকদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ। স্বজনহারা মানুষের কান্নায় ভারি হয়ে ওঠে সেখানকার পরিবেশ।
সুদূর মাদারীপুর থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন সন্তানহারা হাবিবুর মাতব্বর। তার মতো অনেকেই হাতে ফুল আর কালো পতাকা নিয়ে শোক জানাতে এসেছেন।
শ্রমিকদের আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান ও সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান মোল্লাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
এ ছাড়া নিহত শ্রমিকদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল মিয়া ও ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ সময় রানা প্লাজা ধসের সঙ্গে জড়িত সব আসামির ফাঁসির দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন।
এদিকে রানা প্লাজা ধসের দুই বছরপূর্তিতে আসা দর্শনার্থীসহ আহত, নিহত ও নিখোঁজ শ্রমিকের স্বজনদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল। রানা প্লাজার সামনে আয়োজন করা হয়েছে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর।
নিরাপত্তার জন্য যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রানা প্লাজার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ধসে পড়ে সাভারের রানা প্লাজা। এ সময় ভবনের নিচে চাপা পড়েন সাড়ে পাঁচ হাজার পোশাক শ্রমিক। এ বিপর্যয়ে ১ হাজার ১৩৪ জনের লাশ উদ্ধার হয়। আহত ও পঙ্গু হন প্রায় দুই হাজার মানুষ। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ২ হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই