রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সামনে খাস জমি দখল
ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন খাস জমিতে পাকা স্থাপনা অবাধে তৈরী হচ্ছে। নীরব প্রশাসন দেখার কেউ নেই! সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে রানীশংকৈল পৌরসভার মধ্যে অবস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির মূল ফটকের দু’পাশে সরকারি জমি দখল হয়ে যাচ্ছে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জমি দখলের জের ধরে মোজাম্মেল (৩০) নামে ১ জনকে মারপিট করা হয়। জানাগেছে, টাকার বিনিময়ে কিছু বোখাটে ছেলেদের মাধ্যমে জমি দখল করে নিচ্ছে ভূমিদস্যুরা। সরকারি খাস জমি প্রতিনিয়ত দখল হয়ে যাচ্ছে রানীশংকৈল উপজেলায়। এতে সরকারের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। এসব সম্পত্তি উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়ছে প্রশাসনের।
এ অবস্থায় সরকারি জমি দখলকে ফৌজদারী অপরাধ হিসেবে গণ্য করে শাস্তির বিধান রাখা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করছেন একাধিক প্রত্যক্ষদর্শি। সরকারি জমি জাতীয় সম্পদ। এ সম্পদ কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথ সৃষ্টি করা অত্যন্ত জরুরী। তবে এক্ষেত্রে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে প্রশাসনের সুনির্দিষ্ট নজর একান্ত প্রয়োজন।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ব্যক্তি স্বার্থকে বড় করে দেখে সরকারি জমি হাতিয়ে নিচ্ছেন কেউ কেউ। দলীয় সংকীর্ণতা পরিহার করে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে কাজ করার মানসিকতা তৈরী করতে হবে এমন লোকের প্রয়োজন। স্বাধীনতার এত বছরেও পরিত্যক্ত সম্পত্তির সঠিক কোন তালিকা প্রণয়ন হয়নি। আর খাস জমির ক্ষেত্রেও রয়েছে বেহাল অবস্থা। তবে পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করার কথা ভূমি মন্ত্রণালয়ের থাকলেও তা কবে কার্যকর হবে বলা কঠিন।
অপরদিকে বেসরকারি তথ্য মতে সারাদেশে খাস জমির পরিমান প্রায় ১৬,৮৬, ৯৫৭ একর। এরমধ্যে ১২,৬০,২০০ একর সরকারি জমিই অবৈধ দখলে। সরকারি সম্পত্তি বেহাত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বেশির ভাগ সময় দেখা গেছে স্কুল, কলেজ, কলকারখানা, রাজনৈতিক দলের কার্যালয় ইত্যাদি স্থাপন করে দখল করে নেওয়া হচ্ছে বেশির ভাগ সরকারি খাস জমি।
সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করতে কিছু অসাধু রাজনৈতিক লোক ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নিজের কার্যস্িিদ্ধর মাধ্যমে এসব খাস জমি দখল করে নিচ্ছেন।
যে দেশে ভূমিহীনদের সংখ্যা কোটিখানেকের উপরে, সেই দেশের সোনার বাংলায় খাস জমি কেমনে বেহাত হতে পারে প্রশ্ন বিদ্ধ করে সচেতন সমাজকে।
মন্তব্য চালু নেই