রাণীনগরে শাক-সবজি ও তরকারি বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে ॥ সাধারণ মানুষ দিশেহারা
নওগাঁর রাণীনগরে উপজেলা সদর সহ ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় শাক-সবজি সহ বিভিন্ন তরি-তরকারির বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। এলাকায় দফায় দফায় ভারি বষর্ণ নওগাঁর ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ২৪আগষ্ট সোমবার ভোরে রাণীনগর-আত্রাই সড়কের পূর্ব মিরাপুর নামক স্থানে পানির তোরে সড়ক ভেঙ্গে গেলে রাণীনগর উপজেলার প্রায় ৭টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেলে কৃষকদের অন্যান্য ফসলের মত শাক-সবজি তরি-তরকারির ভিটা-মাটিও তলিয়ে যায়।
ফলে উপজেলায় প্রায় ২০একর জমির শাক-সবজি বন্যার পানির কারণে পচন ধরে। সবজির গাছ পচন ও মরে যাওয়ার কারণে বর্তমানে ওই জমিগুলোতে সবজির উৎপাদন একে বারে কমে এসেছে। বন্যার আগে যে জমিতে প্রতিদিন প্রায় ২৫-৩০কেজি সবজি উঠতো সেই জমিতেই বর্তমানে ৫-৭কেজি করে সবজি পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সবজি ও তরি-তরকারির বাজারে আগুন লেগেছে।
রাণীনগর উপজেলার সদরের পাইকারি ও খুরচা বাজারে ঘুড়ে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ বিক্রয় হচ্ছে প্রতি কেজি ২শ’ টাকা, করলা ৮০টাকা, আলু ২২টাকা, বরবটি ৬০টাকা, কাকরোল ৩০টাকা, পেঁপে ২০টাকা, পটল ৪৮টাকা, কচু ২৫টাকা, লাউ ৪০, মানকচু ৩০, সাজিনা একশ ২০টাকা, শুকনা মরিচ ২শ’ টাকা, পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা , রসুন ৭০টাকা, বেগুন ৬০টাকা। এইসব শাক-সবজি তরি-তরকারি বন্যার কারণে সরবরাহ কম থাকায় অতিরিক্ত বেশি দামে বিক্রয় হচ্ছে।
ক্রেতা শিউলী পারভিন, সাদেকুল ইসলাম, ওহেদুল ইসলাম মিলন জানান, বন্যার কারণে তরি-তরকারির বাজারে আগুন লেগেছে। আমাদের মত খেটে খাওয়া মানুষের এই দূর্যোগ কালীন মহুর্তে এত দামে তরকারি কিনতে হিমশিম খাচ্ছি।
রাণীনগর কাঁচা বাজারের তরকারি বিক্রেতা আকাশ সাকিদার, জাইদুল ইসলাম, নিজামুল জানান, বন্যার কারণে সবজির ফসল ক্ষতি হওয়ায় বাজারে আমদানি কম থাকায় অস্বাভাবিক ভাবে দাম বেড়েই যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার এসএম গোলাম সারওয়ার জানান, চলতি মৌসুমে রাণীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৮০হেক্টর জমিতে শাক-সবজির চাষ করে ছিল স্থাণীয় কৃষকেরা কিন্তু অকস্মিক বন্যায় ২০হেক্টর সবজির জমি পুরোটায় নষ্ট হয়েছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকায় এই জমির শাক-সবজি গুলো রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
মন্তব্য চালু নেই