রাণীনগরে বাদামের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা ॥ কৃষকের মুখে হাসি
নওগাঁর রাণীনগরে এবছর বাদামের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকদের মুখে ফুটে উটেছে হাসি। বর্তমানে বাদামের বাজারও ভালো থাকায় বাদামের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার আশা প্রকাশ করছে উপজেলার বাদাম চাষীরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মিরাট ইউপি সহ এলাকার বিভিন্ন মাঠে এবছর প্রচুর পরিমান বাদাম চাষ করা হয়েছে। বর্তমানে রাণীনগর উপজেলার মধ্যে মিরাট গ্রামে সবচেয়ে বেশি বাদাম উৎপাদন হওয়ায় বাদাম চাষের গ্রাম হিসেবে ব্যাপক পরিচিত পেয়েছে মিরাট গ্রাম। চলতি মৌসুমে উপজেলায় মোট ১৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে। যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
এবছর আবহাওয়া বাদাম চাষের অনুকূলে থাকায় বাদামের বাম্পার ফলনের আশা প্রকাশ করছেন এলাকার বাদাম চাষীরা। এলাকার চাষীরা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রতি বিঘা জমিতে ৭ থেকে ৮ মণ হারে বাদাম উৎপন্ন হবে। বাদামের বাজার ভালো থাকলে প্রতি মণ শুকনো ও কাঁচা বাদাম ৩ থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হবে। প্রতি বিঘাতে বাদাম চাষ করতে মোট খরচ হয় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা। এতে খরচ বাদে দ্বিগুন লাভ পাওয়া যায় বলে এলাকার চাষীরা বর্তমানে বাদাম চাষের প্রতি ঝুঁকছে।
মিরাট গ্রামের বাদাম চাষী তাহের আলী (৫৫) জানান, তিনি এবছর প্রায় ৫ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাদাম গাছ তেমন কোন রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত না হওয়ায় বাদামের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি। বাদাম চাষী আক্কাস আলী (৩৮) জানান, তিনি এবার প্রায় ১০ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার প্রতি বিঘা জমিতে ৭ থেকে ৮ মণ হারে বাদামের ফলনের আশা করছেন তিনি। বাদাম চাষী নজরুল ইসলাম (৪০) জানান, দীর্ঘদিন যাবত তিনি বাদামের চাষ করে আসছেন। বাদাম চাষে কম খরচে অধিক লাভ হয়। গম, সরিষা তুলেই এই বাদামের চাষ শুরু হয়ে জ্যৈষ্ঠ্য মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাদাম উঠানো হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এসএম গোলাম সারওয়ার জানান, এবছর আবহাওয়া বাদাম চাষের অনুকূলে থাকায় বাদামের বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে। কম খরচে অধিক লাভ পাওয়ায় এলাকার কৃষকরা বাদাম চাষের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। তাই বিগত বছরের তুলনায় এবার উপজেলায় রের্কড পরিমাণ জমিতে বাদামের চাষ করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই