রাণীনগরে ঘন ঘন লোডশেডিং ও তীব্র তাপদাহ ॥ জনজীবন বিপর্যস্ত
![](https://archive1.ournewsbd.net/wp-content/uploads/2016/04/66-2-900x450.jpg)
কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ) সংবাদদাতা : নওগাঁর রাণীনগরে অব্যাহত তীব্র তাপদাহের কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম বিপর্যস্ত। অন্যদিকে গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে কয়েক দিন ধরে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং এ সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। প্রচন্ড গরমে সাধারণ মানুষ স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে হাঁপিয়ে উঠছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদের প্রচন্ড তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ নিজ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে একেবারেই বের হচ্ছে না। তবে খেটে খাওয়া মানুষ বাধ্য হয়ে রিক্সা, ভ্যানের পাশাপাশি কৃষকরা মাঠে ধান কাটছে। কোথাও একটু স্বস্তি পাচ্ছে না মানুষ। গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এউপজেলার সাধারণ মানুষ।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খেটে খাওয়া লোকজন সামান্য স্বস্তি পেতে গাছের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় খাল-বিল নদী-নালা শুকিয়ে গেছে। অন্যদিকে মানুষের পাশাপাশি প্রাণিকুলেও নেমে এসেছে নাভিশ্বাস। ভ্যাপসা গরম ও তীব্র তাপদাহে কদর বেড়ে গেছে, বেলের সরবত, শসা, তরমুজ, ডাব ও আইসক্রীমের। ১নং খট্টেশ্বর রাণীনগর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সমর্থীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আসাদুজ্জামান পিন্টু জানান, তীব্র তাপদাহের প্রভাবে ক্ষেতে খামারে কৃষকরা কাজ করতে পারছে না। ফলে খেটে খাওয়া মানুষের দূর্ভোগ চরমে। এদিকে ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারণে গ্রাহকদের মাঝে অসন্তোষ ও চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। উপজেলার চকমনু গ্রামের বিদ্যুৎ গ্রাহক ও কাশিমপুর ইউপি’র মেম্বার প্রার্থী মোঃ আবুল বাশার (চঞ্চল) জানান, দিনরাত মিলে প্রায় ১০/১২ বার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব সমস্যায় রয়েছেন।
নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রাণীনগর সাব-জোনাল অফিসের এজিএম মোঃ মোতাছিম বিল্লাহ জানান, বিদ্যুৎ চালিত নূলকূপ বন্ধ থাকায় বর্তমানে রাণীনগর সাব-জোনাল অফিসের অধিনে ২৯ হাজার ৭শ’ গ্রহক রয়েছে। এর মধ্যে আবাসিক গ্রাহক প্রায় ২৮হাজার, ব্যানিজ্যিক ১হাজার, দাতব্য সহ অন্যান্য ৪শ’ গ্রাহক রয়েছে। অফিসের আওয়াতাধীন গ্রাহকের চাহিদা ৬ মেগাওয়াট। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে প্রয়োজনীয় উপকরণ সংকট সহ প্রচন্ড তাপদাহে বিদ্যুৎ উৎপাদনের হার কমে যাওয়ার কারণে সরবরাহ হয়েছে ৪ মেগাওয়াট। এজন্যই বিদ্যুতের লোডশেডিং হয়েছে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার থেকে চাহিদা অনুযায়ী ৬ মেগাওয়াট (স্বাভাবিক) বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই