রাণীনগরে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন যুগ্ম সচিব
নওগাঁর রাণীনগরে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ এলাকা পরিদর্শন করেছেন ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব । বরাদ্দ করা হয়েছে ২০ মেঃটন চাল । খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ পরিস্থিতি।
গত শনিবার সন্ধ্যায় প্রায় আধা ঘন্টা ধরে বয়ে যাওয়া স্বরণকালের কালবৈশাখীর প্রচন্ড ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় আড়াই হাজার পরিবারের ঘড়ের চালের টিন উড়ে যায় ও কাঁচা-পাকা দেয়াল ধসে পড়ে এবং হাজার, হাজার গাছ-পালা ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বয়ে যাওয়া ঝড়ে ক্ষতি হয় ধান, রবি শস্যসহ বিভিন্ন ফসলের। ভেঙ্গে পরে বিদ্যুতের প্রায় ৩০ টি খুটি। এতে এলাকায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি পুরো-পুরি ভেঙ্গে পরে। গত কয়েক দিনে বিদ্যুতের মেইন লাইন চালু হলেও এখনো অধিকাংশ গ্রাম রয়েছে অন্ধকারে । বিদ্যুৎ পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরো দু’এক দিন সময় লাগতে পারে বলে এজি.এম মোতাসিম বিল্লাহ জানান। মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানাগেছে, ওই ঝড়ে মাদ্রাসা, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকসহ প্রায় ১০টি বিদ্যালয়ের চরম ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে চকাদিন সরকারী প্রাথমিক ও পোঁওতা পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চালের সম্পূর্ন টিন উড়ে যায় । গত কয়েক দিনে চালাগুলো মেরামত না করায় রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে চরম দূর্ভোগের মধ্যে ওই দ’ুটি বিদ্যালয়ের কচি-কাচা কমলমতি ছেলে-মেয়েরা ক্লাস করছে খোলা আকাশের নিচে ।
এদিকে গত বুধবার বিকেলে ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব আতিকুর রহমান উপজেলার বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এলাকার জন্য ২০ মেঃ টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম পাটওয়ারী জানান।
মন্তব্য চালু নেই