রাজশাহীর রেলওয়ের অনুসন্ধান কেন্দ্র মোবাইলের রিচার্জের দোকান

বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহীর অনুসন্ধান কেন্দ্র এখন মোবাইল ফোনের রিচার্জের দোকান। রেলওয়ের অনুসন্ধান কেন্দ্রের বেহাল দশা। অনুসন্ধান কেন্দ্রে চলছে ফোন ফ্যাক্সের ব্যবসা। নামে ঝুলছে অনুসন্ধান কেন্দ্রের সাইন বোর্ড। এখানে বাংলাদেশ রেলওয়ের কোন কর্মচারী কর্মকর্তা নাই কিন্তু রয়েছে সরকারি টেলিফোন। একই দোকানে মোবাইল ফোনে রিচার্জের ব্যবসা আর পাশাপাশি চলছে যাত্রী সেবা। যদিও যাত্রী সেবাটা আগে দেবার কথা কিন্তু এই রেল স্টেশনে এর উল্টো। কিন্তু ঢাকাতে অনুসন্ধানের জন্য সব সময় একজন কর্মচারী থাকেন এমনটি বললেন একজন যাত্রী। এর ফলে রেলের যাত্রী সাধারণ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। প্রতিদিন নানাভাবে ট্রেনযাত্রীরা ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

এদিকে রেলস্টেশনে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে গিয়ে যাত্রীদের হয়রানির শিকার হওয়ার বিষয়টি নতুন না। টিকিট কাটতে গিয়ে ঠিক মত টিকেট পাওয়া গেলেও ট্রেন সময় মত আসছে না এমন আভিযোগ যাত্রীদের। বস্তুত রাজশাহী রেল রেলস্টেশনটি যাত্রী হয়রানির জংশনে পরিণত হয়েছে। ট্রেন যাত্রীদের নানারকম দুর্ভোগের শিকার হওয়ার ঘটনা এদেশে নতুন কিছু নয়।

তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী ও নিরাপদ বিবেচনায় মানুষ রেলপথে ভ্রমণ করতে পছন্দ করে। মানুষের এ পছন্দ ও আগ্রহকে পুুঁজি করে দুর্ভোগে ফেলা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়।

তানোরের ফরিদ হোসেন বলেন, গত ১৬ তারিখে আমি ঢাকা যাবার জন্য টিকিট কেটেছি। যদিও টিকিটের মূল্য ঠিক ছিলো। আজ আমার ঢাকা যাবার কথা আমি দুপুরে বাড়ি থেকে অনুসন্ধান কেন্দ্রে ফোন দিয়ে ছিলাম তারা আমকে বলেছে ৪টার দিকে ছাড়বে ট্রেন। এসে ছিলাম সাড়ে তিনটার দিকে ট্রেন ছাড়ার ২০ মিনিট আগে বলছে আজকের ট্রেন ছাড়বে সাড়ে ৫টার পরে।

তখন আমি অনুসন্ধান কেন্দ্রে গিয়ে দেখি তাদের দোকনে মোবাইল ফোনে রিচার্জ নিয়ে ব্যস্ত। অনুসন্ধান কেন্দ্রে গিয়ে জানতে চাইলে তার আমাকে মাস্টার অফিসারের কাছে পাঠিয়ে দেয়, ‘বেশি জানতে চাইলে মাস্টার অফিসে যান’।

যাত্রী পুন্নু বলেন, আমি রেল স্টশনে এসেছি প্রায় সাড়ে তিনটার দিকে, ট্রেন ছাড়ার কথা ৪টার দিকে। অনুসন্ধান কেন্দ্রে ফোন দিয়েছিলাম তার ঠিকমত বলতে পারে না। এসে দেখি অনুসন্ধান কেন্দ্র না ফোনের দোকান।

এই দোকানে গেলাম জিজ্ঞাসা করতে তার মাস্টার অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছে। দোকানে যদি সব তথ্য পাওয়া যেতো তাহলে ভালো হতো।
মোবাইল ফোনে রিচার্জের ও অনুসন্ধান কেন্দ্রের নাইম বলেন, এই দোকান আমার বড় ভাই টেন্ডারের মাধ্যমে নিয়েছে। এখানে যারা ব্যবসা করবে তাদের এই অনুসন্ধানের কাজ করতে হবে। আমাদের আগে যারা ছিলো তারাও এভাবে চালাতো দোকান। এই দোকান চালাতে হলে এ সেবা ফ্রি দিতে হবে। এ বিষয়টি উদ্বেগজনক বলে স্টেশন মাস্টার আনিসুর রহমান বলেন, অনুসন্ধান কেন্দ্রের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তারা বললে ব্যবস্থা নিবো। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয় না তার। মোবাইল ফোনে রির্চাজের দোকানের ছেলেটা মাঝে মধ্যে এসে জিজ্ঞাসা করে যায় ট্রেন কখন আসবে আর ছাড়বে।



মন্তব্য চালু নেই