রাজধানীতে যেন ঈদ

আওয়ামী লীগের ২০ সম্মেলন উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে রাজধানী। সম্মেলনের আগেই উৎসবের শহরে পরিণত হয়েছে পুরো শহর; চারিদিকে সাজ সাজ রব। আলোকসজ্জা দেখা গেছে নগরীর প্রতিটি সড়কদ্বীপ, ফোয়ারাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে।

শনি ও রবিবার (২২ ও ২৩ অক্টোবর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অতীতে কখনও আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বহুমাত্রিকতা কিংবা নান্দনিকতার এমন সমাহার ঘটেনি। ক্ষমতাসীন এ দলটি এবারের সম্মেলন জাঁকজমক করতে আগেভাগেই ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গোটা রাজধানী রঙিন সাজে সাজানো হয়েছে। নগরীর প্রবেশ পথগুলোতে বানানো হয়েছে তোরণ। সড়কের মোড়ে-মোড়ে টাঙানো রয়েছে জাতীয় পতাকা। পোস্টার, ব্যানার আর বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে নগরীর বিভিন্ন জায়গা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের ছবি স্থান পেয়েছে এসব বিলবোর্ড, ব্যানারে। এতে তুলে ধরা হয়েছে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন অর্জন। আলোকসজ্জা দেখা গেছে নগরীর প্রতিটি সড়কদ্বীপ, ফোয়ারা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়। এদিকে দৃষ্টিনন্দন করে সাজানো হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় ও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়।

মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপ-কমিটির সদস্য সচিব এবং বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, ‘আগে থেকেই আমাদের পরিকল্পনা ছিল, এবারের সম্মেলন জাঁকজমক করবো। সেই অনুযায়ী আমরা চেষ্টা করেছি। আমরা মনে করি, ঢাকাকে আমরা উৎসবের শহরে পরিণত করতে পেরেছি।’

মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘সম্মেলন ঘিরে সাজসজ্জাসহ ব্যাপক আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করেছি। রাজধানীসহ জেলা-উপজেলায় তোরণ ও বিলবোর্ডের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম তুলে ধরেছি।’ দলের সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম বঙ্গবন্ধু পরিবারের বাইরে ব্যানার ও বিলবোর্ডে কারও ছবি থাকবে না। আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।’-বাংলা ট্রিবিউন



মন্তব্য চালু নেই