রমজানে ধর্মঘটে যাওয়ার হুমকি মাংস ব্যবসায়ী সমিতির

আবারও দাবি আদায়ে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি না মানা হলে আগামী পহেলা রমজান থেকে ধর্মঘটসহ যে কোনও কর্মসূচি দেওয়ার আগাম হুঁশিয়ারি দিয়েছে মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। রবিবার বেলা পৌনে ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল ইসলাম।

তিনি জানান, মাংস ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রায় দেড় বছর ধরে নির্ধারিত খাজনার চেয়ে বেশি অর্থ আদায় করছেন গাবতলী পশুর হাটের ইজারাদার। ফলে প্রতিটি গরুর জন্য বাড়তি পাঁচ হাজার টাকা করে গুণতে হচ্ছে তাদের। এছাড়াও বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাস সংযোগ বন্ধ হওয়ায় ট্যানারিগুলোও গরুর চামড়া কেনা কমিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃপক্ষ আলোচনা ছাড়াই মাংস ব্যবসায়ীদের আলাদা একটি তালিকা করেছে। গাবতলী পশুর হাটে গরু-ছাগলের খাজনা দ্বিগুণ করেছে। সব মিলিয়ে মাংস বিক্রিতে লোকসানের পরিমাণ আরও বেড়ে গেছে। তাই বাড়তি দামেই কেজি প্রতি পাঁচশ’ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।

রবিউল ইসলাম আবারও জানিয়েছেন, আমাদের দাবি মানলে আমরা দেশব্যাপী ৩০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস খাওয়াতে পারবো।এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একজন কর্মকর্তা জানান, মাংস ব্যবসায়ী সমিতির কাছে তাদের সদস্যদের তালিকা চাওয়া হলেও এখন পর্যন্ত তাদের পক্ষ থেকে তা দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রবিউল আলম বলেন, মাংস ব্যবসায়ীদের তালিকা চাইলে অবশ্যই দেওয়া হবে। তবে ডিএনসিসি মাংস ব্যবসায়ীদের কাছে কোনও তালিকা চায়নি। এমনকি সরকার ও করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তি মাংস ব্যবসায়ী সমিতির দাবি ও অভিযোগ নিয়ে আলোচনাও করেননি।



মন্তব্য চালু নেই