রমজানে ডায়বেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ৬টি ইফতার

পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়ে গিয়েছে। এ মাসেই মুসলমানরা তাদের পবিত্র ধর্ম অনুসারে রোজা রেখে থাকেন। রোজা রাখার কিছু স্বাস্থ্যকর গুণাগুণ রয়েছে। তবে ডায়বেটিস রোগীদের জন্য যদিও কিছুটা নিয়মের পরিবর্তন হয়ে থাকে তারপরও এতে করে তাদের তেমন কোনো শারীরিক অসুস্থতা লক্ষ্য করা যায় না যদি তারা উপকারী এবং স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার আহার করে থাকেন। রমজান মাসে রোজাদার ডায়বেটিস রোগীদের কোনো ভাজা পোড়া খাবার একেবারেই খাওয়া উচিৎ না। আসুন জেনে নিই ডায়বেটিস রোগীদের জন্য কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার যা তারা ইফতারে খেতে পারেন।
১. কাঁচা বা সিদ্ধ ছোলা :

সাধারণত ইফতারে ছোলা মিদ্ধ করে রান্না করা হয়ে থাকে যেটাতে অনেক বেশি মসলা থাকে। ডায়বেটিস রোগীদের এই মসলাযুক্ত খাবার একেবারেই খাওয়া উচিৎ না। এর পরিবর্তে তারা কাঁচা ছোলা বা শুধু সিদ্ধ ছোলা ইফতারে খেতে পারেন। খাবার ছোলাতে বেশি পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে, খোসা ছাড়িয়ে, কাঁচা আদার সঙ্গে ইফতারে খেলে শরীরে একই সঙ্গে আমিষ ও ভিটামিনের চাহদিা পূরণ হয়। এছাড়া পানিতে ভেজানো ছোলায় ভিটামিন বি এর পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে ডায়বেটিক রোগীরা এই রমজান মাসেও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে স্বাস্থ্যকর এই কাঁচা বা সিদ্ধ ছোলা খেতে পারেন।
২. শসা টমেটোর সালাদ :

শসা ও টমেটোতে প্রয়োজনীয় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি রয়েছে। ডয়বেটিক রোগীরা তাদের ইফতারের আহারে এই শসা এবং টমেটোর সালাদও গ্রহণ করতে পারেন। এতে করে সারাদিন পরে দেহ কিছু পুষ্টিকর গুণাগুণ আহরণ করতে পারবে।
৩. স্যুপ জাতীয় খাবার :

ডায়বেটিস রোগটি একেবারে নিরাময় হয় না একে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। তাই ডায়বেটিক রোগীরা খাবারের ক্ষেত্রে ডায়েট করে থাকেন। ইফতারে স্যুপ জাতীয় খাবার আহারে ডায়বেটিক রোগীদের ডায়েটের কাজটিও হয়ে থাকে পাশাপাশি প্রয়োজনীয় প্রোটিনও পূরণ হয়। তাই ডায়বেটিক রোগীরা এই রমজানে স্যুপ জাতীয় খাবার দিয়ে ইফতার করতে পারেন।
৪. দুধ-চিড়া :

দুধ-চিড়া ডায়বেটিক রোগীদের জন্য পুষ্টিকর একটি খাবার। দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, ক্যালরি, প্রোটিন রয়েছে যেগুলো ইফতারে খেলে শরীরে সারাদিনের অভাব পূরণ করে থাকে। ডায়বেটিক রোগীরা এমনিতেই অনেক বেশি রুটিন এবং নিয়ম করে খাওয়া দাওয়া করে থাকেন। তাই ইফতারে বিভিন্ন ভাজা পোড়া না খেয়ে এই দুধ চিড়া দিয়ে ইফতার সেরে নিতে পারেন। এতে করে পেট ঠান্ডা থাকবে। অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে পেট রক্ষা পাবে।
৫. ফলমূল :

বিভিন্ন ফলমূলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল, ক্যালরি রয়েছে। এর ফলে দেহের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ হয়। তাই ডায়বেটিক রোগীরা ভাজাপোড়া বেগুনি, পিয়াজু, রান্না ছোলা, আলুনি বা মিষ্টি জাতীয় কোনো খাবার যেমন জিলাপী, বুরিন্দা, মিষ্টি, দই, সেমাই না খেয়ে কিছু পুষ্টিকর ফলমূল যেমন ধরুন কলা, খেজুর, আপেল, আঙ্গুর, কমলা, নাসপতি, আম খেতে পারেন। এর ফলে শরীর সুস্থ থাকবে।
৬. লেবু পানি বা ডাবের পানি :

ইফতারে শরবত বা জুস দিয়ে ইফতার শুরু করতে হয়। ডায়বেটিক রোগীরা শরবত বা জুস না খেয়ে লেবু পানি বা ডাবের পানি খেতে পারেন। লেবুতে সাইট্রিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি রয়েছে যা শরীরের ভিটামিন পূরণ করে এবং ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান, ভিটামিন যেমন রিবোফ্লেবিন, নিয়াসিন, থায়ামিন এবং পেরিডক্সিন এছাড়া অ্যান্টি ভাইরাল এবং অ্যান্টি ব্যকটেরিয়াল রয়েছে যা শরীরের পুষ্টি পূরণে সহায়তা করে। এছাড়া শরীরের অতিরিক্ত সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।



মন্তব্য চালু নেই