‘রবীন্দ্রনাথ ছিলেন মনোজগতের কবি’

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ছিলেন মানুষের মনোজগতের কবি। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন রাজনীতির কবি। মানুষের মানবিক মূল্যবোধ ও আত্মশক্তি জাগরণে রবীন্দ্রনাথের লেখা চিরকাল প্রেরণা জুগিয়ে যাবে বাঙালীকে। আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মানুষকে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিস্বাধীনতা এবং ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় চিরকাল মানুষকে অনুপ্রেরণা দেবে।’

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে শুক্রবার সকালে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত বিশ্বকবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৪তম জন্মবার্ষিকী ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথ দ্বারা দারুণভাবে প্রভাবিত ছিলেন। বিশেষ করে কবির দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা তার রাজনৈতিক সংগ্রামে সাহস জুগিয়েছে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই রবীন্দ্রনাথের ‘‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’’— এই গীতিকবিতা জাতীয় সংগীত হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালী জাতির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির লক্ষ্যে স্বাধীনতা সংগ্রাম করেন। দীর্ঘ ২৪ বছর সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে বিজয় অর্জনের মাধ্যমে বাঙালী জাতির স্বাধীন ভুখণ্ড ও আত্মপরিচয়ের সুযোগ করে দেন। পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথের অসাম্প্রদায়িক চেতনা, আন্তর্জাতিকতাবাদ, মানবকল্যাণ ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি ভাবনাগুলো বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ও চেতনায় স্থায়ীভাবে আসীন হয়েছিল।’

প্রধানমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, ‘এরই ধারাবাহিকতায় রবীন্দ্রনাথের চিন্তা, চেতনা ও দর্শনকে বাঙালীর মাঝে ছড়িয়ে দেবার জন্য ‘‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়’’ রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠা করা হলো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্প-সাহিত্যকলার পাশাপাশি বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও বাণিজ্যে অনুষদে শিক্ষার সুযোগ থাকবে।’

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত সংস্কৃতিক সচিব বেগম আকতারী মমতা ও সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপন, জেলা প্রশাসক মো. বিল্লাল হোসেন।



মন্তব্য চালু নেই