৪১ বছরের প্রতীক্ষার অবসান
১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের এত আবেগ আর দেখা যায়নি। গত বুধবার বাংলাদেশ নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় চোখের জল ফেলেছিলেন রাজ্যসভার এক সদস্য। আবেগে গানও জুড়েছিলেন, ‘শোনো, একটি মুজিবরের…’। রাজ্যসভার পর গতকাল বৃহস্পতিবার লোকসভায় বাংলাদেশ নিয়ে আবারও আবেগে ভেসেছেন ভারতের সংসদ সদস্যরা। হৃদয়স্পর্শী বক্তব্যে তাঁরা সর্বসম্মতিক্রমে পাস করিয়েছেন বহুল আলোচিত-প্রত্যাশিত-আকাক্সিক্ষত সীমান্তচুক্তির জন্য সংবিধান সংশোধনী বিল।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বিল অনুমোদনের পর আবেগতাড়িত কণ্ঠে বলেন, রাজ্যসভায় যেভাবে সর্বসম্মতিক্রমে এই বিল গৃহীত হয়েছে সেভাবেই লোকসভায় এই বিল গৃহীত হওয়ায় বিশ্ববাসীর কাছে ভারত প্রমাণ করল যে দেশের স্বার্থে সব রাজনৈতিক দল এক হয়। একই সঙ্গে ভারত ‘দাদাগিরি’ না করে বরং প্রতিবেশীদের সঙ্গে ‘ভাই-ভাই’ হিসেবে থাকতে চায়। কারণ এক ভাই অন্য ভাইয়ের দেখভাল করে, মঙ্গল চায়। ‘বিগ ব্রাদার’ হলে অনেকটা ‘অ্যারোগেন্ট’ (ঔদ্ধত্য) হওয়ার সুযোগ থাকে। ফলে ভারত সেটি হবে না কোনো দিনই।
স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের প্রশংসা করে বুধবারই বিরোধীদের মন জয় করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তিনি রাজ্যসভায় গতকাল বৃহস্পতিবার সংবিধানের ১১৯তম সংশোধনীর বিলটি এনে দলমত নির্বিশেষে সদস্যদের প্রতি সবুজ বোতাম টিপে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। সুষমার আকুল আর্তি ছিল- যাতে একটি ভোটও বিপক্ষে না পড়ে, যাতে প্রতিবেশী বাংলাদেশকে একটি ‘ভালো সংকেত’ পাঠানো যায়। এর পরের অধ্যায়টি ইতিহাস, নাকি ইতিহাস ভাঙা নতুন ইতিহাস! রাজ্যসভার সদস্যরা বুধবারই সীমান্তচুক্তি বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধন বিলের পক্ষে সর্বসম্মত সমর্থন দিয়েছিলেন। গতকাল লোকসভায়ও ওই বিলটি অনুমোদন হলো সর্বসম্মতিতে। এর মধ্য দিয়ে স্থল সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের ৪১ বছর পর তা বাস্তবায়নে বড় বাধা কেটে গেল।
এদিকে সীমান্ত বিল ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায়ও অনুমোদন হওয়ার পর সংসদে যখন চলছিল উচ্ছ্বাস, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফোন করে বাংলাদেশের জনগণ ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। শুধু তাই নয়, ঐতিহাসিক এ মুহূর্তে শুভেচ্ছা জানানোর বার্তাটিও তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের মাধ্যমে। সেখানে মোদি লিখেছেন, সংসদে সংবিধান সংশোধন বিল পাস হওয়ার পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এক ঐতিহাসিক মাইলফলকে পৌঁছল। গৃহীত সংশোধনীতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বেশ পুরনো সমস্যাগুলোর স্থায়ী সমাধানের পথ নিশ্চিত হলো।
টুইটারে তিনি আরো লেখেন, এ সিদ্ধান্ত শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল সীমান্ত গড়তে এবং উন্নততর ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়ের পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদারে ভূমিকা রাখবে। তিনি সীমান্ত বিল অনুমোদনে সহায়তার জন্য সব রাজনৈতিক দল এবং আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যকে ধন্যবাদ জানান। প্রতিবেশীদের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ার সম্মিলিত আগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে এই সহযোগিতার মাধ্যমে।
এদিকে লোকসভায় ঐতিহাসিক বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি বিল পাস হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশের সরকার, জনগণ ও তাঁর নিজের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী গত রাতে বার্তা সংস্থা বাসসকে জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় ভারতের লোকসভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ বিলটি পাস হওয়ার পরপরই নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন এবং অভিনন্দন জানান। নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘১৯৭৪ সালের ১৬ মে আপনার পিতা বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। আজ আপনার সরকারের সময় সেই মে মাসেই বিলটি পাস হলো।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিলটি পাস হওয়ায় ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, বিরোধীদলীয় নেতা সোনিয়া গান্ধী, ভারত সরকার, লোকসভা ও রাজ্যসভার সব সদস্য, প্রশাসন এবং ভারতের জনগণকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। ভারত বাংলাদেশের দুঃসময়ে সব সময়ই পাশে ছিল এবং এখনো আছে। প্রধানমন্ত্রী সব ছিটমহলবাসীকে অভিনন্দন জানান এবং তাদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
লোকসভায় গতকালের ভোট পর্বে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীসহ সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত ভারতের প্রায় সব শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিক। সংশোধনী বিলটি উত্থাপন করার পর কংগ্রেস, বিজেপি, বামসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ১৩ জন সংসদ সদস্য এই বিল নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন। এর মধ্যে একমাত্র এআইইউডিএফপি দলীয় সংসদ সদস্য বদরুদ্দিন আজমল প্রথমে বিলটির বিরোধিতা করেন। তিনি স্পিকার সুমিতা মহাজনের মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে বিলটি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। কিন্তু অবাক বিষয় হচ্ছে, বদরুদ্দিন আজমলও শেষ পর্যন্ত লোকসভার পরিবেশ বুঝে বিলের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন। সংসদে উপস্থিত ৩৩১ জন সংসদ সদস্যের সবাই সবুজ বোতাম টিপে ভোট দিয়েছেন ৩৩১টিই। লোকসভার কার্যদিবসের বর্ধিত সময় সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৬টা ৪০ মিনিটে) বিলটি অনুমোদন পায় ইন্টিগ্রেডেট ভোটিং সিস্টেমের মধ্য দিয়ে। রাজ্যসভার মতো লোকসভায়ও ইতিহাস গড়ে এই বিলের পক্ষে ভারতের সব রাজনৈতিক দলের সমর্থন মিলেছে।
ভারতের লোকসভায় দুজন মনোনীত সদস্য নিয়ে ৫৪৫ জন সদস্য রয়েছেন। সীমান্তচুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে ভারতের সংবিধান সংশোধনী বিল অনুমোদন করার এই ঐতিহাসিক দিনে তাই লোকসভার ৭৫ শতাংশ সংসদ সদস্যই উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া ৩টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ লোকসভায় বিলটি উত্থাপন করেন এবং অনুমোদন করার জন্য স্পিকারের কাছে অনুরোধ জানান। এই বিল নিয়ে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী, সিপিএমের মহম্মদ সেলিম, তৃণমূলের ড. অধ্যাপক সুগত বসু, কংগ্রেসের গৌরব গগৈ এবং বিজেপির এস এস আলু আলিয়া হৃদয়স্পর্শী বক্তব্য দেন।
বিজেপির দার্জিলিং আসনের সংসদ সদস্য এস এস আলু আলিয়া ভাষা আন্দোলন থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং পরবর্তী সময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। ইন্দিরা গান্ধী এবং শেখ মুজিবুর রহমানের এই চুক্তি স্বাক্ষরের প্রেক্ষাপটও বর্ণনা করেন। বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রের ভূয়সী প্রশংসাও করেন আলু আলিয়া। একই সঙ্গে এই সীমান্তচুক্তি বাস্তবায়িত হলে ছিটমহলের মানুষের মানবিক বিপর্যয় কাটবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাঞ্জাবের মানুষ হলেও লোকসভায় দীর্ঘ সাত মিনিটের বক্তব্য তিনি বাংলাতেই দিয়েছেন। প্রায় প্রতিটি লাইনে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন।
কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশি ছিটমহলের যেসব বাসিন্দা ভারতীয় হিসেবে মর্যাদা পাবে, তাদের জন্য ভারতের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেন।
তৃণমূলের ড. সুগত বসু বাংলায় কবিতা পাঠ করেন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্কের নানা দিক তুলে ধরেন। তিনি আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বসুলভ সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেন।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের ছেলে সংসদ সদস্য গৌরব গগৈ আসামকে বাদ দিয়ে এই চুক্তি করায় কংগ্রেস কেন বিরোধিতা করেছিল, সেই প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি এও বলেন, এই চুক্তির প্রটোকল কংগ্রেস সরকারের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছেন। তাই এই চুক্তির বিপক্ষে তাঁদের কোনো অবস্থান নেই।
লোকসভায় বিল নিয়ে আলোচনা শেষে সুষমা স্বরাজও দীর্ঘ বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ‘বিগ ব্রাদার’সুলভ মনোভাব রাখতে চায় না। এই চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে ছিটমহল সমস্যার যেমন সমাধান হবে, তেমনি অপদখলীয় ভূমি এবং দুই দেশের মধ্যে অচিহ্নিত প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার এলাকার সমস্যার সমাধান হবে।
ভারতের ছিটমহলগুলোর বাসিন্দাদের পুনর্বাসনে পশ্চিমবঙ্গের জন্য তিন হাজার আট কোটি রুপির প্যাকেজ সহায়তারও ঘোষণা দেন সুষমা স্বরাজ।
তিনি বলেন, লোকসভার অনেক সংসদ সদস্যের মধ্যে ছিটমহল সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই। তাই এই ছিটমহল নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করে তা ভবিষ্যতে লোকসভায় দেখানো হবে। এর আগে আসামের সংসদ সদস্য গৌরভ গগৈ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ ধরনের একটি তথ্যচিত্র তৈরির অনুরোধ জানান।
ভারতের সংসদের উভয় কক্ষ- রাজ্যসভা এবং লোকসভায় গৃহীত হওয়ার পর এখন আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গসহ সীমান্তবর্তী সব রাজ্যের বিধানসভায় এই বিলটি পাঠানো হবে। এর পরই রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ভারতের সংবিধান সংশোধনীর ১১৯তম বিল অনুমোদনের বিষয়ে চূড়ান্ত স্বাক্ষর করবেন এবং এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৪১ বছর ঝুলে থাকা সীমান্তচুক্তিটি বাস্তবায়নের পথ সুগম হবে। সংসদের উভয়কক্ষে বিলটি পাস হওয়ায় ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির তরফে সব রাজনৈতক দল ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত।
১৯৪৭ সাল থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থল সীমান্ত সমস্যার সমন্বিত সমাধানে পৌঁছার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১৯৫৮ সালের নেহরু-নুন চুক্তি এবং ১৯৭৪ সালের স্থল সীমান্ত চুক্তির মাধ্যমে সীমানা জটিলতার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে ওই দুই চুক্তিতে প্রায় ৬.১ কিলোমিটার অচিহ্নিত সীমান্ত, ছিটমহল বিনিময় ও অপদখলীয় ভূমির বিষয়ে কোনো সমাধান ছিল না। ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরকালে সই হওয়া ১৯৭৪ সালের স্থল সীমান্ত চুক্তির প্রটোকলে সীমান্তে সব সমস্যার সমাধান রয়েছে। ওই প্রটোকলে সীমান্তে অচিহ্নিত অংশগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ছিটমহল এবং অপদখলীয় ভূমি সমস্যার সমাধান করে স্থায়ী সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে। এর আওতায় বাংলাদেশের ভেতর থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহল (১৭ হাজার ১৬০.৬৩ একর) বাংলাদেশকে দেবে ভারত। অন্যদিকে ভারতের মধ্যে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল (সাত হাজার ১১০.০২ একর) বাংলাদেশ দেবে ভারতকে। অপদখলীয় ভূমি বিনিময়ের ফলে ভারত বাংলাদেশের কাছ থেকে দুই হাজার ৭৭৭.০৩৮ একর জমি পাবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে পাবে দুই হাজার ২৬৭.৬৮২ একর। স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে দুই দেশের ছিটমহলগুলোর বাসিন্দাদের নাগরিক সুবিধা পাওয়ার সুযোগ হবে।
মন্তব্য চালু নেই