রক্ষক যখন ভক্ষক ॥ দেখুন কিভাবে আইন ভাঙছেন ভিআইপিরা (ভিডিওসহ)

তাঁদের কাজ আইন প্রণয়ন করা। কিন্তু তাঁরা যে আইন প্রনয়ণ করেন, সে আইন নিজেরাই ভাঙেন। রাস্তায় উল্টো দিক দিয়ে গাড়ি চালান। উল্টোপথ দিয়ে চললেও ট্রাফিক পুলিশ তাদের সিগনাল পার করে দিতে সদা তৎপর থাকেন! এমনকি তাঁদের অনেকের গাড়িতে থাকে না কোনো নম্বরপ্লেট! এতো গেল আইন প্রণেতাদের কথা।

আর যারা সে প্রণীত আইনকে বাস্তবায়ন করেন মানে পুলিশ, তাদেরকেও হরহামেশাই নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে গাড়ি চালাতে দেখা যায়।

শুধু আইন প্রণেতারাই নয়, আইন ভেঙে রাস্তায় চলাচল করার এ তালিকা থেকে বাদ যাবে না সাংবাদিকদেরাও।

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলা ভিশন-এর প্রতিবেদক সাজিদ আহমেদের এক প্রতিবেদনে এ ধরনের বেশ কিছু চিত্র উঠে এসছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্তাব্যক্তি, মন্ত্রী, পুলিশ, সাংবাদিক, কেউই যখন আইন না মেনে উল্টোপথ দিয়ে নির্বিঘ্নে গাড়ি চালিয়ে যান, তখন অন্যপাশে জ্যামে আটকা পড়ে দুর্দশা পোহান সাধারণ জনগণ।

কিন্তু কেন তারা এভাবে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছেন? এমনটা জানতে চাইলে জ্বালানী মন্ত্রনালয়ের সচিব আবু বক্কর সিদ্দিক তার ড্রাইভারের উপর দোষ চাপাতে চাইলেন। প্রতিবেদককে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ারও আহবান জানান তিনি।

একই প্রশ্নের জবাবে রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, হয়তো কখনো কখনো সময় বাঁচানোর জন্য উল্টোপথ দিয়ে গাড়ি চালান তারা। এটা ক্ষমতার দাপট নয়। তবে বিষয়টি ঠিক নয় বলে নিজেই স্বীকার করেছেন এ প্রকৌশলী।

আবার কেউ কেউ এ প্রশ্ন শুনে প্রতিবেদকের উপর রেগে যেতেও দেখা গেছে।

ouuegg

আবার আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আরো এক ধাপ এগিয়ে। সামনে বা পেছনে, তার গাড়ির কোনো নম্বরপ্লেট-ই নেই। যদিও তিনি দাবি করেছেন, ডিজিটাল নম্বরপ্লেট আসতে দেরি হওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে।

তবে এটাও আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মোসলেউদ্দিন আহমেদ।

তিনি জানান, মোটরযান অাইনের ১৫২ ধারা অনুযায়ী নম্বরপ্লেট বিহীন গাড়ি রাস্তায় নামানো দন্ডনীয় অপরাধ। ডিজিটাল নম্বরপ্লেট পেতে সময় লাগলে ম্যানুয়াল নম্বরপ্লেট ব্যবহার করতে হবে। মোটকথা গাড়িতে নম্বরপ্লেট থাকতেই হবে।

এদিকে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান বলছেন, নম্বরপ্লেট ছাড়া গাড়ি চালানোর কোনো নিয়ম নেই। ডিজিটাল নম্বরপ্লেটের দোহাই দিয়ে যেসব ভিঅাইপি নম্বরপ্লেট বিহীন গাড়ি চালাচ্ছেন, তারা বেআইনী কাজ করছেন। আইনে তো ভিঅাইপিদের জন্য আলাদা নিয়ম নেই। অাইন তো সকলের জন্য সমান।

https://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=RMdif5Vty3Y



মন্তব্য চালু নেই