যৌন হয়রানি : খালেদার উপদেষ্টার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শাহজাহান ওমরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন তারই এক জুনিয়র নারী আইনজীবী। গত ১৯ মে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন তিনি। ওই নারী আইনজীবী ছাত্রদলের সাবেক এক শীর্ষ নেতার বোন।

ওই নারী আইনজীবী বলেন, তিনি ২০১০ সালে ৫ থেকে ৬ মাস শাজাহান ওমরের জুনিয়র হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু তার কুপ্রস্তাবে অতীষ্ঠ হয়ে জুনিয়রশিপ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং ২১৬ নং হল রুমে এসে প্র্যাকটিস শুরু করেন। কিন্তু তারপরও শাজাহান ওমর নানা লোক দিয়ে আবার তাকে কু-প্রস্তাব দেন।

ওই নারী জানান, শাহজাহান ওমর তার অনিবন্ধিত একটি সিম দিয়ে তাকে নানা নোংরা কথা লিখে পাঠাতেন। প্রস্তাবে রাজি হলে বিয়ে করার কথাও বলেন এই বিএনপি নেতা। বিষয়টি বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদেরকেও জানিয়েছেন ওই আইনজীবী। কিন্তু খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হওয়ায় শাহজাহান ওমরকে নিয়ে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

সবশেষ গত ১৮ মে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শাজাহান ওমরের কক্ষ গেলে তাকে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করা হয় বলেও অভিযোগে বলা হয়। সেখানে ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে কক্ষের দরজা ভেঙে যায়।

এই ঘটনায় আইনজীবী আমিনুর রহমান চন্দন সুপ্রিম কোর্ট বারে ওই নারী আইনজীবীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। আর অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ এনে ওই আইনজীবীকে সাময়িক বরখাস্ত করে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি। ঘটনার পর দিন শাহজাহান ওমরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ দেন ওই আইনজীবী।

তবে শাহজাহান ওমর তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘ও একটা পাগল। আমার রুমে গিয়ে ঝামেলা করার কারণে সুপ্রিমকোর্ট বার থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপর আমার বিরুদ্ধে এ মিথ্যা অভিযোগ করছে সে’।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনসহ সমিতির ১৪ জন সদস্যই এ কমিটির সদস্য’।

ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, কক্ষের কাঁচ ভাঙার কারণে ওই আইনজীবীকে সমিতি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আর তার অভিযোগের বিষয়টি আমরা পড়েছি। কিন্তু সাপ্তাহিক ছুটির কারণে এ নিয়ে বসা হয়নি। তদন্ত করে এ বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া হবে।ঢাকাটাইমস



মন্তব্য চালু নেই