যে মেয়েরা অনর্গল গালাগালি দিতে দক্ষ, তাঁদের কী গুণ আছে জেনে নিন

কোন বয়েসে আপনি প্রথম গালাগালি দিয়েছিলেন মনে পড়ে? ছোট থেকেই আপনি নিশ্চয়ই শুনে আসছেন মুখে খারাপ কথা একদম আনা উচিত নয়। যারা গালাগালি দেয়, তারা খারাপ লোক। আর মেয়েরা গালাগাল দেবে? ওরে বাবা! ছেলেদের মুখ খারাপ করা যদিও বা চলতে পারে, মেয়েরা তো খারাপ কথা বলতেই পারবেন না। ছোট থেকেই আমরা এই সব শিখে এসেছি। গালাগালি বা খিস্তি যারা দেয় তারা অভদ্রের দলে পড়ে। এদের তিরস্কারই প্রাপ্য। এদের সঙ্গে মেলামেশা করাই উচিত নয়।

এই শিক্ষাকে ভুল প্রমাণ করে দিলেন একদল গবেষক। ম্যাসাচুসেটস্ কলেজ অফ লিবারাল আর্টস্ এবং মারিস্ট কলেজের গবেষকরা বলছেন, যারা অনর্গল খিস্তি করতে পারে তারা অন্যদের থেকে অনেক স্মার্ট। তাদের শব্দভাণ্ডার অনেক বেশি। আর তারা কথাবার্তাতেও অনেক বেশি পারদর্শী।

বিজ্ঞানীরা কন্ট্রোলড ওয়ার্ড অ্যাসোসিয়েশন টেস্টের মাধ্যমে একটি পরীক্ষা চালান। এই পরীক্ষার মাধ্যমে মূলত কার শব্দভান্ডার কত সমৃদ্ধ, তার পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষার পরে গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বলা হয় এক মিনিটে যত পারে তত গালাগালি দিতে। পরীক্ষার শেষে দেখা যায়, যারা সহজে খিস্তি দিতে পারছে তারা সাধারণ শব্দও জানে অনেক বেশি।

এই গবেষণা থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। এসব ক্ষেত্রে মেয়েরা ছেলেদের থেকে অনেক এগিয়ে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যেসব মেয়েরা বেশি মুখ খারাপ করেছে, তারা ছেলেদের থেকে বেশি শব্দ জানে।

অধ্যাপক টনি ম্যাকনারির কথায়, পুরুষদের একরকম ভাষা আর মহিলাদের ভাষা আলাদা, এই ধারণাই ভুল। মেয়েরা একরকম ভাষা বলবে, ছেলেরা একরকম বলবে— এই ধারণাও ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই