যে তিনটি কারণে পাকিস্তানের ভয় ‘সাকিব’

সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম ভরসা মানা হয়ে থাকে তাকে। প্রতিপক্ষ যতই শক্ত হোক না কেন, সাকিব কিছু একটা করবেন, এই আশাটা থাকে সতীর্থদের মধ্যেও। যদিও দিন বদলেছে, সাকিব ছাড়াও দলে এখন অনেক ধারাবাহিক ক্রিকেটার রয়েছেন।

অন্তত, সাকিব নির্ভরতা কমেছে একটু হলেও। তারপরেও ঘুরে ফিরে আলোচনায় এসেছেন তিনি। কারণ এবার যে প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। অতীতের পরিসংখ্যানের দিকে তাকিয়ে বলা চলে, ভারত ছাড়া আর যে দলের বিপক্ষ্বে তিনি ভালো করেন, সেটি পাকিস্তান।

বাংলাদেশের ক্রিকেটের পারফর্মেন্সের কথা আসলেই, সাকিবের কথা চলে আসে। তেমনি প্রতিপক্ষ হিসেবে পাকিস্তান কিংবা ভারতের কথা আসলেও, তার নামটি আসে। ২০০৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিন ফরম্যাটে ২০টি ম্যাচ পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছেন সাকিব। আর প্রায় সবকটিতেই দেখিয়েছেন নিজের ‘মাজেজা’।

এখন প্রশ্ন হতে পারে, সাকিব কেন পাকিস্তানের ভয়ের কারণ। উত্তরটি খুব সহজ। কারণ হলো, ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণভাবে সফল সাকিব। তাই, প্রত্যেকটি ফরম্যাটেই সাকিব হয়ে উঠতে পারে পাকিস্তানের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ।

১। টেস্ট দিয়েই শুরু করা যাক। আগামী ১৭ তারিখ থেকে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ। এবারের সূচিতেও রয়েছে দুইটি টেস্ট। তবে সাকিব পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছেন মাত্র দুইটি টেস্ট। দুই ম্যাচেই অনেকটা বাজিয়ে দিয়েছিলেন পাক বাহিনীকে। দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে তুলে নিয়েছেন ২০৯ রান। যার মধ্যে সর্বোচ্চ ১৪৪! রয়েছে একটি অর্ধশতকও। বল হাতেও নিয়েছেন সাতটি উইকেট।

২। ওয়ানডেতে খেলেছেন মোট ১২টি ম্যাচ। এই এক ডজন ম্যাচে ৪১.০০ গড়ে রান করেছেন ৪৫১ যার মধ্যে একটি শতকসহ রয়েছে তিনটি অর্ধশতক। আর, বল হাতে ১৬টি উইকেট।

৩। এতো গেলো ওয়ানডে আর টেস্ট, ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফরম্যাট টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ছয়বার পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছেন সাকিব আল হাসান। বল হাতে নিয়েছেন ছয় উইকেট।ব্যাট হাতে ২৯.৫০ গড়ে সংগ্রহ করেছেন মোট ১৭৭ রান। সর্বোচ্চ ৮৪ রান।

১৯৯৯ সালের পর থেকে একটি ম্যাচেও পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পায়নি বাংলাদেশ। তবে এবারের সিরিজের গুরুত্ব একেবারেই আলাদা। একদিকে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দারুণ পারফর্মেন্স, অন্যদিকে পাকিস্তান দলের সিনিয়র ক্রিকেটারের ঘাটতি। তাছাড়া সাকিব নিজেই বলেছেন, এবারের সিরিজে বাংলাদেশই ফেভারিট।



মন্তব্য চালু নেই