যে কারণে মন্দির মেরামতে মুসলিম নারী!

৪৫ বছর বয়সী একজন কর্মজীবী নারী সুগ্রা বাই, তার পরিবারের সাথে ভারতের মধ্য প্রদেশের মান্দসাউর জেলার ইন্দ্র কলোনিতে বসবাস করেন। তিন বছর আগে এই মুসলমান নারী তার বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত মন্দিরের সন্ধান পান। এই মন্দিরের ব্যাপারে কেউ জানতেন না।

তিনি বলেন, ‘আমি এই মন্দিরের সন্ধান পাবার পর এটিকে নতুন করে তৈরি করার চিন্তা করি। তাই আমি কলোনির সবাইকে ডেকে এনে সে কথা জানালে সবাই ২ রুপি করে টাকা অনুদান করেন। সেই টাকা দিয়ে আমরা আবার মন্দির তৈরি করি’।

বর্তমানে সে কলোনির সকল মুসলমান ও হিন্দু একত্রে এই মন্দিরের দেখাশুনা করেন। তারা একত্রে এখানে নবরাত্রি উদযাপন করেন। তাদের ধারণা ধর্ম কোনদিন মানুষকে আলাদা করতে পারেন না। তাই তারা সকলে সকলের ধর্মের উৎসব একত্রে উৎযাপন করেন।

গ্রামের সকল মানুষ এই মন্দিরের দেখাশুনা করেন বলে তাদের মাঝের পারস্পারিক বোঝাপড়া অনেক ভাল। তারা সকল কাজে একে-অপরকে সাহায্য করেন।

গ্রামে মন্দিরের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে, যেখানে হিন্দু ও মুসলমান উভয় ধর্মের সদস্য রয়েছেন। মন্দিরে সকাল ও সন্ধ্যায় পুজা করা হয়। যেখানে হিন্দু ও মুসলিম উভয় ধর্মের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

গ্রামের একজন বাসিন্দা বিরুলাল এনডিটিভিকে জানান, মন্দিরের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। সুগ্রা বাই সকলকে ডেকে এটি মেরামতের কথা বললে সকলে তার কথায় সম্মতি জ্ঞাপন করে সাহায্য করে। এখন প্রতিদিন সন্ধ্যায় এখানে হিন্দু ও মুসলমান উভয়ে পুজা করতে আসেন।

ইন্দ্র কলোনির আরেকজন বাসিন্দা বাবু আমজাদ জানান, ‘গ্রামের আবহাওয়া অনেক ভাল। আমরা এখানে অনেক শান্তি ও সম্প্রীতিতে বসবাস করি। আমরা মন্দির পরিদর্শন করি এবং মহররমে সেখানে শরবত বিতরণ করি’।–সূত্র: এনডিটিভি নিউজ।



মন্তব্য চালু নেই