যে কারণে ফাইনালে ফেবারিট অস্ট্রেলিয়া

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আগামীকাল রোববার অনুষ্ঠিত হবে ২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনাল। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই সহ-আয়োজক অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। দুটি দলই দারুণ পারফরম্যান্স করে ফাইনালে এসেছে। শিরোপার দাবিদার যে উভয় দলই, এ বিষয়ে হয়তো কারো মতভেদ নেই। তারপরও কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে রাখা যায় রোববারের ফাইনালে।

আগের ইতিহাস : বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হয়েছে এবং শিরোপা জিতেছে এমন বেশ কয়েকটি উদাহরণ রয়েছে। ১৯৯৬ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক ছিল ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। সেবার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। ২০১১ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও ভারত। এই বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিল শ্রীলঙ্কা ও ভারত। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছিল সহ-আয়োজক ভারত। খেলাটি হয়েছিল ভারতের মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে।

এবারও ফাইনালে উঠেছে দুই সহ-আয়োজক নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়ার ঘরের মাঠ মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। সেক্ষেত্রে এবারও শিরোপা জয়ের দৌড়ে এগিয়ে থাকবে ক্লার্ক বাহিনী।

অভিজ্ঞতা : ক্রিকেটে মেধা ও যোগ্যতার পাশাপাশি অভিজ্ঞতার বিষয়টিও জরুরি। এর আগে নিউজিল্যান্ড কখনো ফাইনাল খেলেনি। এবারই তারা প্রথম ফাইনালে উঠেছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া এর আগে ছয়বার ফাইনাল খেলেছে। তার মধ্যে শিরোপা জিতেছে চারবার। অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে রাখা যায়। নিউজিল্যান্ড প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠায় প্রত্যাশার চাপে ভুগবে। সেটা তাদের জন্য হিতে বিপরীত হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ঘরের মাঠ : মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড অস্ট্রেলিয়ার ঘরের মাঠ। এই মাঠে নিয়মিত খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে অসি ক্রিকেটারদের। মাঠের আয়তন নিয়ে ইতিমধ্যে গলদঘর্ম নিউজিল্যান্ড। সেদিক দিয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে অসিরা। নিউজিল্যান্ড চলতি বিশ্বকাপের সবগুলো ম্যাচই তাদের ঘরের মাঠে খেলেছে। অস্ট্রেলিয়ার মাঠের তুলনায় নিউজিল্যান্ডের মাঠ আকারে ছোট। সে কারণে, নিউজিল্যান্ডের খেলতে কিছুটা সমস্যা হতে পারে।

আত্মবিশ্বাস : বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতকে সেমিফাইনালে ৯৫ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সে কারণে ক্লার্ক-স্মিথরা বলতে গেলে আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুর। মানসিকভাবেও তারা এগিয়ে রয়েছে। রোববারের ফাইনালেও বিষয়টি এগিয়ে রাখবে তাদের।

দর্শক উপস্থিতি : অস্ট্রেলিয়া সপ্তমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে। তাও আবার ঘরের মাঠে ফাইনাল। অস্ট্রেলিয়ার মানুষ এতটা ক্রিকেট পাগল না হলেও এদিন নিশ্চয়ই ঘরে বসে থাকবে না। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ধারণক্ষমতা ১ লাখের ওপরে। এই আসনের অধিকাংশই যে অস্ট্রেলিয়ার দর্শকদের দখলে থাকবে সেটা হয়তো নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। আর ঘরের মাঠের এই দর্শকরা এগিয়ে রাখবে অস্ট্রেলিয়াকে।



মন্তব্য চালু নেই